ছেলে থেকেও নেই, ভিক্ষা করেই জীবন চলে লালমনিহাট কালীগঞ্জের হাসিনা বেগমের

রাহেবুল ইসলাম, কালীগঞ্জ(লালমনিরহাট)প্রতিনিধি: মানবেতর জীবনযাপন করছেন ৭৫ বছর বয়সী হাসিনা বেগম। তিন ছেলে দুই মেয়ে থাকলেও তার দেখাশোনো কেউ করেন না। নিজের জীবন বাঁচাতে প্রতিদিন গ্রাম থেকে গ্রামে ভিক্ষা করে যাচ্ছেন। লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলার কাশীরাম এলাকায় ছোট্ট একটি কুটিরে দীর্ঘ ৪৬ বছর ছোটো একটি জায়গায় বসবাস করছেন তিনি। বাকী জীবনে কোনমতে বেচে থাকতে সকলের সহযোগিতা চান তিনি।সূত্রে জানা যায়, বড় বড় দালানকোঠা, ইট-পাথরের মাঝে অসহায়দের কুটির চোথে পড়ে না অনেকের। টাকার পেছনে ছুটছি আমরা, প্রতিবেশি কেমন আছে তা খোজ নিইনা অনেকে। রোদে পুডে বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন কাটে তাদের। লালমনিরহাট কাশীরাম কালীগঞ্জ উপজেলার সুখানদিঘি গ্রামে জন্ম হয় এলাকার বাড়ীতে খালেক হোসেনর মেয়ে (বর্তমান নাম হাসিনা বেগম )। যুদ্ধের আগে বিয়ে হয়ে কিছুদিন সহায় সম্বলহীন স্বামীর সাথে বসবাস করেন। তাদের ঘরেই জন্ম নেয় তিন ছেলে দুই মেয়ে । স্বামীকে হারিয়ে যুদ্ধের পর ছেলে সন্তান নিয়ে আশ্রয় নেন মুনসীর বাজার এলাকার ছোটো একটি সামির বাড়ীর জায়গায়। হাসিনা বেগম। অভাবের সংসারে মা কে রেখে নিরুদ্দেশ হয় ছেলে। মেয়ে বিয়ে হয়ে দিনমজুর স্বামীর সংসারে রয়েছে। বর্তমানে বৃদ্ধ খতিজা বেগম এক কাপড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। বৃষ্টিতে, শীতে কষ্ট করে চলছে তার দিন যাপন। হাসিনা বেগম তিস্তা বার্তা’ বগুড়া বার্তা ক্রাইন নিউজ বাংলাদেশের প্রত্র এবং দৈনিক দেশকাল কে জানান, শক্তি থাকতে অন্যের বাড়ীতে কাজ করে জীবন চলতো। এখন আর শক্তি নাই, বয়স হয়ে গেছে। তাই দু’বেলা মুঠোর জন্য মানুষের বাড়ীতে ভিক্ষা করে জীবন চলে। স্থানীয় রায়হানের কাছ থেকে খবর পেয়ে বৃদ্ধ মহিলাটির খোজ খোবর নিতে ছুটে যান কালীগঞ্জের শহীদ আব্দুল গফুর স্মৃতি সামাজিক সংগঠন সানরাইজ এবং আজান ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সদস্য মেজবাউল ইসলাম রাজু । বৃদ্ধা তাকে ঝড়িয়ে বাচার আকুতি জানান। এসময় উপস্থিত সকলের চোথে পানি চলে আসে। কালীগঞ্জের ধণাঢ্য ব্যক্তি ও সামাজিক সংগঠন গুলো এগিয়ে আসার আহবান জানান স্থানীয় সচেতনমহল।

Comments (0)
Add Comment