জর্ডানে আবু কাতাদাকে সন্ত্রাসের অভিযোগ থেকে মুক্তি

পর্যাপ্ত প্রমাণ না থাকায় জর্ডানের কট্টরপন্থি ধর্মীয় নেতা আবু কাতাদাকে সন্ত্রাসের অভিযোগ থেকে খালাস দিয়েছে দেশটির একটি সামরিক আদালত। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন বলে আশা করছেন তার আইনজীবীরা।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, ইসরায়েলি, আমেরিকানসহ পশ্চিমা নাগরিক ও কূটনীতিকদের আক্রমণের পরিকল্পনার অভিযোগ থেকে বুধবার আবু কাতাদাকে খালাস দিয়ে রায় ঘোষণা করেন সামরিক আদালতের বেসামরিক বিচারপতিবৃন্দ।

আবু কাতাদা আলোচিত ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গি গ্রুপের কড়া সমালোচক ও সন্ত্রাসী সংগঠন আল-কায়দার সমর্থক হিসেবে বিবেচিত।

সংবাদ মাধ্যমগুলো জানায়, আদালত কাতাদাকে পশ্চিমাবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে তার পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ নেই। 

কাতাদার আইনজীবী হুসেইন মুবাইদিন আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তিনি মুক্তি পেতে পারেন।

ওসামা বিন লাদেনের একসময়ের লেফটেন্যান্ট খ্যাত আবু কাতাদার বিরুদ্ধে  ২০০০ সালে জর্ডানে অবস্থানরত ইসরায়েলি, আমেরিকান ও পশ্চিমা কূটনীতিক ও পর্যটকদের আক্রমণের পরিকল্পনার অভিযোগ তোলা হয়। ‘মিলেনিয়াম প্লট’ বলে পরিচিত ওই হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ ছাড়াও এ ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে আরও বেশ কিছু সন্ত্রাসের মামলা দায়ের ছিল এবং সেসব মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তও হন তিনি। ক’মাস আগেই জর্ডানে আরেকটি মামলা থেকে অব্যাহতি পান ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত ৫৩ বছর বয়সী আবু কাতাদা।

জানা যায়, প্রথমবারের মতো সন্ত্রাসের অভিযোগ ওঠার পর ১৯৯৩ সালে তাকে ধরতে অভিযান চালানো হলে একটি ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে যুক্তরাজ্য পাড়ি জমান আবু কাতাদা এবং সেখানে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। অবশ্য পরের বছরই জর্ডান সরকারের পক্ষ থেকে অবহিত হয়ে তাকে যুক্তরাজ্যের জন হুমকি বলে চিহ্নিত করা হয় এবং জর্ডানে ফেরত পাঠাতে মামলা চালু করা হয়। দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর গত জুলাইয়ে কাতাদাকে একটি চুক্তির ভিত্তিতে জর্ডানে ফেরত পাঠায় যুক্তরাজ্য। জর্ডানে ফেরত পাঠানো হলে তাকে নির্যাতন করা হবে না এবং মামলার বিচারকার্য নতুন করে শুরু করা হবে এমন শর্ত জুড়ে দিয়ে যুক্তরাজ্যকে ওই চুক্তি করাতে বাধ্য করেন কাতাদা। 

শেষ পর্যন্ত বিচারিক প্রক্রিয়ায় কাতাদাই জয়লাভ করলেন। অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত এ ধর্মীয় নেতাকে নির্দোষ ঘোষণা দিয়ে রায় ঘোষণার পর অবশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পশ্চিমাদের প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

Comments (0)
Add Comment