এ নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনাসহ আলোচনার ঝড় উঠেছে। শহরে হটাৎ র্যাব,পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতি দেখে আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যবসায়ীরা দোকান পাঠ বন্ধ করে।
অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়নের বিষয়টি স্বীকার করে থানা অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজার রহমান বলেন,নিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলে পুলিশ দেওয়া হয়েছিল এবং এমপির নিরাপত্তা চেয়ে একজনের নাম উলেখ করে থানায় সাধারন ডায়রী হয়েছে।
অভিযোগ অস্বীকার করে আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর বলেন,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মনোনয়ন প্রত্যাশি,আমাকে দমানোর জন্যই ষড়যন্ত্রমুলক এই জিডি।
এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আনছার আলী মিন্টু বলেন,কোন দিবস ছাড়াই স্থানীয় এমপি ক্ষমতা দেখানোর জন্য পুলিশি প্রহরায় বিক্ষোভ মিছিল করে জনগনের মাঝে যে আতংক সৃষ্টি করেছেন তা দলের জন্য শোভনীয় নয়। নিজ দলের একজন কর্মীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করা ঠিক হয়নি। উপজেলা আ’লীগ এর তীব্র নিন্দা জানায়।
স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা বলেন,‘কে বা কাহারা জিডি করেছে আমি জানি না। এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য নাই।’
উলেখ্য,গত ১৬ ফেব্র“য়ারী উপজেলা বঙ্গবন্ধু প্রজন্মলীগের আয়োজনে এক সভায় অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে ভুয়া মুক্তিযোদ্বা হিসেবে আখ্যয়িত করে কোন সময় যুদ্ধ করেছিল এবং কে কমান্ডার ছিলেন,তা একুশে ফেব্রুয়ারী শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার আগেই জানতে চান কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াহেদ বাহাদুর। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে পৌর শহরের উত্তেজনা বিরাজ করছিল।