জাতিসংঘে ভাষণের আগে সেনা প্রধানের সঙ্গে নওয়াজ সলাপরামর্শ

অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের আজ (বুধবার) জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেয়ার কথা। পাক নেতার বক্তব্যে জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুটি উঠে আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ভারত আগেই জানিয়েছে, নওয়াজের ভাষণে কাশ্মির ইস্যুটি উঠে আসলে কড়া জবাব দেয়া হবে। বিশেষ করে কাশ্মিরের উরির সেনা চৌকিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ ভারতীয় সেনা নিহত হওয়ার পর থেকেই দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
ভবিষ্যতে অনাকাঙ্খিত কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হলে তা যাতে সামাল দেয়া সহজ হয় সে চিন্তা মাথায় রেখেই পাক সেনা প্রধান জেনারেল রাহিল শরিফের সঙ্গে ভাষণের খসড়া নিয়ে ফোনে সলা পরামর্শ করে নিয়েছেন নওয়াজ শরীফ। মঙ্গলবার রাতে তাদের মধ্যে ফোনে এই সলাপরামর্শ হয়।
পাক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখপাত্র প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং জেনারেল রাহিল শরিফের মধ্যে ফোনালাপের কথা স্বীকার কলে বলেন, গতকাল রাতের ফোনালাপে আঞ্চলিক পরিস্থিতির বিষয়টি অগ্রাধিকার পেয়েছে।
নওয়াজ শরিফ বর্তমানে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন। গত রবিবার ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মিরের উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলায় ১৮ জন সেনা সদস্য নিহত হওয়ার ঘটনার পর এই প্রথম তাদের দুজনের মধ্যে আলাপ হলো।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে আজ বুধবার বক্তৃতা দেয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নেওয়াজ শরিফের। তার বক্তব্যে মূলত কাশ্মির ইস্যুটি উঠে আসতে পারে। কারণ উরির হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, নওয়াজের বক্তব্যে কাশ্মির নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য আসলে তার কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হবে। পাল্টা বক্তব্যে পাকিস্তানের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিস্তারিত বিশ্ব জানানো হবে। এসব নিয়ে পাকিস্তান চাপের মধ্যে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের পরিকল্পনা ছিল কাশ্মীর সংঘর্ষ নিয়ে কথা বলবেন। কিন্তু উরির হামলার ঘটনায় পরিস্থিতি বদলে গেছে। এখন দুই দেশের আন্তঃসীমান্ত জঙ্গিবাদ ইস্যুটি সামনে চলে এসেছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ঐ মুখপাত্র জানান, প্রধানমন্ত্রী একটি ভারসাম্যপূর্ণ বক্তব্য রাখতে পারেন। কাশ্মীরে ভারতের নৃশংসতার বিষয়ে কথা বলতে পারেন। এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষার বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনা করতে পারেন।
নওয়াজ শরিফ কাশ্মীর সমস্যা মোকাবেলায় জাতিসংঘের প্রস্তাব বাস্তবায়নসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যস্থ ভূমিকা পালনের প্রস্তাব দিতে পারেন। সুত্র: ডন।

Comments (0)
Add Comment