বাংলাদেশে হেযবুত তাওহীদ সদস্যদের উপর ক্রমবর্ধমান হামলা ও হুমকির প্রতিবাদে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে হেযবুত তাওহীদ ইউএসএ। সোমবার (৭ অক্টোবর ২০২৪) নিউইয়র্ক সময় সকাল ১১টায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অবস্থিত জাতিসংঘ সদর দপ্তরের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে অব্যাহত হামলা ও হুমকি বন্ধে ব্যবস্থা নিতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয় এবং জাতিসংঘ মহাসচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এছাড়াও, গত ৫ আগস্টের পর হেযবুত তাওহীদের উপর হুমকি ও হামলার ঘটনার এবং ২০০৯ ও ২০১৬ সালে হেযবুত তাওহীদের ইমামের বাসভবনে ধ্বংসযজ্ঞের ছবি, ভিডিও ও বিভিন্ন ডকুমেন্ট প্রদান করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তাওহীদ ইউএসএর প্রেসিডেন্ট হারুন এ রশিদ। তিনি বলেন, হেযবুত তাওহীদের সর্বোচ্চ নেতা ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের জীবন হুমকির মুখে। উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি ইমামের বাসভবন ধ্বংস করার হুমকি দিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা হেযবুত তাওহীদের ইমামের বাড়ি সংলগ্ন প্রায় পঞ্চাশটি পরিবারের উপর হামলা করেছে এবং সারাদেশে ৮টি জেলা কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। যার ফলে সংগঠনের সদস্যদের কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
হারুন এ রশিদ আরও বলেন, হেযবুত তাওহীদ একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংস্কারমূলক আন্দোলন। গত এক দশকে ধর্মীয় উগ্রবাদের বিরুদ্ধে প্রায় দুই লক্ষাধিক জনসচেতনতামূলক সভা করেছে আন্দোলনটি। আন্তঃধর্মীয় সম্প্রীতি, নারীদের অগ্রগতি এবং সুস্থ সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পক্ষে কথা বলছে তারা। যা ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটির দৃষ্টিভঙ্গির বিপরীত। যে কারণে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীটির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে হেযবুত তাওহীদ।
তিনি বলেন, সম্প্রতি, উগ্রবাদী গোষ্ঠীটি হেযবুত তাওহীদের ইমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের বাড়ির সামনে একাধিক বেআইনি সমাবেশ করে। সেখানে তারা হেযবুত তাওহীদকে উৎখাত করার হুমকি দেয়। একইভাবে ২০১৬ সালেও হামলা চালানো হয়। সে সময় মিথ্যা গুজব রটিয়ে নির্মাণাধীন একটি মসজিদ ধ্বংস, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগ এবং হেযবুত তাওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা করা হয়, যার কোনো বিচার হয়নি।
এ সময় হারুন এ রশিদ জাতিসংঘের কাছে হেযবুত তাওহীদের সদস্যদের, বিশেষ করে অরক্ষিত নারী, শিশু এবং বয়স্কদেরকে নিপীড়ন ও নির্যাতন থেকে রক্ষা করার জোর দাবি জানান। মানববন্ধনে হেযবুত তাওহীদের ইউএসএ সদস্যরা বাংলাদেশে আন্দোলনটির সদস্যদের উপর হামলা, হুমকির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। সহিংসতা প্রতিরোধে এবং তাদের মানবাধিকার রক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন।