মনিরুজ্জামানর সুমন,ঝিনাইদহ:
ঝিনাইদহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় বুরো ধানের বাম্পার ফলন হলেও খরচের টাকা উঠছে না কৃষকদের। পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের সেই বিখ্যাত কবিতার অংশ সারা মাঠে ধান,পথে ঘাটে ধান উঠানেতে ছড়াছড়ি। কৃষকের মাঠে এখন সোনালী ফসল ধানের সোনা মাখা রং যেন ঝিলিক মেরে উঠছে। সোনালী ধানের সোনা মাখা রং যেন কৃষকের মুখের হাসি ম্লান করে দিচ্ছে। কৃষকরা ব্যস্ত এখন ধান কাটা মাড়াই কাজে। একদিকে আবহওয়া কৃষদের অনুকুলে না থাকা অন্যদিকে ধানের দাম একদম কম। সরেজমিনে বাজার ঘুরে জানাগেছে, মোটা ধান ৫৫০ টাকা থেকে ৫৬০ টাকা বিক্রী হচ্ছে,চিকন ধান বিক্রী হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৬৬৬ টাকা। এর ফলে কৃষদের লোকশান হবে বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকার বেশি এমনই কথা বলেন বংকিরা গ্রামের কৃষক আব্দুল হান্নান বিশ্বাস। তিনি র্আও বলেন,বীজ তলার খরচ ১হাজার টাকা জমি চাষ ১ হাজার টাকা,রোপন খরচ ১ হাজার টাকা,নিড়ানি খরচ ১ হাজার ২ শো টাকা,সেচ খরচ ২ হাজার ৫ শত টাকা,সার কিটনাশক ৩ হাজার ৫ শত টাকা,কাটা মাড়াই ২২শত টাকা। হিসাব অনুযায়ী এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে খরচ হয় ১২,৪০০ টাকা। এ বিষয়ে আরেকজন কৃষকের সাথে কথা বললে তিনি জানান নিজের শ্রমধরলে এবং জমির খেশারত ধরলে বিঘাপ্রতি খরচ দাড়াবে ১৮হাজার টাকা। এ মৌসুমে ধানের ফলন ভালো হলেও এবার শ্রমের মূল্য গতবারের চেয়ে বেশি। গত বছর শ্রমিকদের পারিশ্রমিকদর ছিল ২৫০ থেকে ২৭৫ টাকা । এবার সেই শ্রমিকের মজুরী ৩০০ টাকা থেকে ৩২০ টাকা । একারনে অন্য বছরের চেয়ে এবছর লোকশান হবে কৃষকদের অনেক বেশি। কৃষকরা আফসোস করে বলেন আমরা কার কাছে বলবো আমাদের লোকশানের কথা আমাদের কথা শোনার কোন লোক নাই। তাছাড়া ধানের বিচালি বিক্রী করে লোকশানটা কিছুটা হলেও পুরণ হত কিন্তু এবছর বিচালি বিক্রী নেই তাই লোকশানের পরিমান বেশি হবে। এ বছর আবহওয়া অনুকুলে না থাকায় কৃষরা বিচালি করতেও পারছে না । এদিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার ড.খান মনিরুলজ্জামান জানান, এবছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তিনি আরো জানান এবছর ঝিনাইদহ সদর উপজেলার কৃষি বিভাগের লক্ষ মাত্র ছিলো ১৮হাজার ৭৫ হেঃ আর উৎপাদন হয়েছে ২০ হাজার ৬১ হেঃ । সরকার কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করার নিয়োম থাকলেও সেই সুযোগ কৃষকরা বরাবরই বঞ্চীত হয়।