ঢাকার কৃষি ব্যাংক (সিবিএ) সাবেক সভাপতি কে মারধর করে হত্যার অভিযোগ

 

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সাবেক এক কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল ১৯ ডিসেম্বর বুধবার রাতে ঢাকা রাজধানীর কৃষি ব্যাংকে মতিঝিল বিমান অফিস-সংলগ্ন এলাকায় সাবেক কর্মচারী ও কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের(সিবিএ) সাবেক সভাপতি আবদুল হালিম কে সিবিএ নির্বাচন বিরোধের জের সহকর্মীদের সাথে ধস্তাধস্তির ঘটনায় ঢলে পড়লে তাকে দ্রুত মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত বলে ঘোষনা করেন।

আরোও জানা গেছে,মৃত ব্যক্তি আবদুল হালিম(৬৩) চট্টগ্রামের বোয়ালখালী ১০ নং করলডেঙ্গা আহল্লা সাদার পাড়ার লোক বলে জানা গেছে।
মৃত আবদুল হালিম ঢাকার কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী এবং কৃষি ব্যাংক এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের (সিবিএ) সভাপতি ছিলেন। তিনি বোয়ালখালী থানা বিএনপি,র যুগ্ন আহবায়ক এবং স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী ও ২৪ গনঅভ্যুত্থানে সাহসী একজন নেতা ছিলেন বলে তার পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে।

মৃত্য আবদুল হালিমের মর-দেহ সুরুত হাল প্রতিবেদন তৈরি করেছেন মতিঝিল থানার উপ- পরিদর্শক (এসআই) সজীব কুমার সিং। প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন,মৃত্য ব্যাক্তি আবদুল হালিমের বাম চোখের ওপরে আঘাতের চিহ্ন সহ বাম চোয়ালে ফুলা পরিলক্ষিত হয় বলে মন্তব্য।

মৃত আবদুল হালিমের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সুরুতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা তাঁর মন্তব্যে লিখেছেন, প্রাথমিক তদন্ত ও সাক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,
গতকাল রাতে মতিঝিলে সাবেক সহকর্মীদের সঙ্গে সিবিএ পদ-পদবীর বিরোধের জের ধরে ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আবদুল হালিম গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে পরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ণয়ে ময়নাতদন্তের জন্য আাবদুল হালিমের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের মর্গে থেকে মৃত আবদুল হালিমের ছেলে ফয়সাল বলেন, সিবিএ’র পদসহ নানা বিষয়ে কয়েকজনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে তাঁর বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে গত অক্টোবরে থানায় জিডি করেছিলেন তাঁর বাবা আবদুল হালিম। তিনি গত মঙ্গলবার রাতে ঢাকায় আসেন। একটি হোটেলে উঠেন।
তারঁ ছেলে কাছে খবর এসেছে বাবাকে সাবেক সহকর্মীরা মারধর করে হত্যা করেছেন।

নিহতের ছেলে ফয়সাল আরোও বলেন, তাঁর বাবা ২০১৪ সাল থেকে সিবিএ সভাপতি ছিলেন।

নাসিম আহামেদ বলেন, ২০১৪ সালের পর আর নির্বাচন হয়নি। গত ৫ আগস্টের পর কয়েকজন বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটি বানান। ইউনিয়ন অফিস দখল করেন। এ নিয়ে মামলা করা হয়। এসব নিয়ে বিরোধ চলছিল বিনা নির্বাচনে মনগড়া কমিটির লোকজনের সাথে বিরোধী চলছিলো বলে জানা গেছে।

Comments (0)
Add Comment