কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর দ্বিতীয় ময়নাতদন্তকারী বোর্ডের প্রধান ও কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কামদা প্রসাদ সাহাকে উড়ো চিঠিতে স্বপরিবারে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুুপুর ২টার দিকে ডা. কামদা প্রসাদ সাহা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, মঙ্গলবার সকালে তিনি অফিসে আসার পর ডাকযোগে প্রেরিত হাতে লেখা ২ পৃষ্ঠার এ চিঠিটি হাতে পান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ডা. কামদা প্রসাদ সাহা, আপনি তনু হত্যা মামলা নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি করছেন, যা আপনার জন্য ভয়াবহ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সহজ মামলাটিকে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে জটিল করার চেষ্টা করবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ২০ মার্চ তনুর মরদেহ কুমিল্লা সেনানিবাসের অভ্যন্তরে তার বাসার পাশে একটি জঙ্গলের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। পর দিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ডা. শারমিন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্ত করেন। পরে ডিএনএ আলামত সংগ্রহের জন্য মামলার ২য় তদন্তকারী সংস্থা ডিবি’র আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ৩০ মার্চ কবর থেকে তনুর মরদেহ উত্তোলন করে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড দ্বিতীয় দফায় ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ আলামত সংগ্রহ করে।
এরপর গত ৪ এপ্রিল তনুর প্রথম ময়নতদন্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়। এতে তনুকে হত্যা কিংবা ধর্ষণের আলামত ছিল না বলে জানানো হয়। এতে চরম সমালোচনার মুখে পড়ে প্রথম ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। কিন্তু গত ৫৫ দিনেও নানা অজুহাতে দেওয়া হয়নি দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত রিপোর্ট। এরই মধ্যে গত ১৬ মে রাতে ডিএনএ রিপোর্টে তনুকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার খবর সিআইডি থেকে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়। ওই ডিএনএ রিপোর্ট পেতে তৎপর হয়ে উঠেছে ফরেনসিক বিভাগ। বিডিপি/ আমিরুল