সংস্থাটির উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো শুক্রবার এ খবর দিয়েছে।
সন্ত্রাস-বিরোধী সংস্থাটির প্রধান গিলেস দ্য কেরচোভকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমগুলো সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছে, আইএসের ওপর পশ্চিমা বিমান হামলা ইউরোপে পাল্টা আক্রমণের ঝুঁকি অনেক বাড়িয়ে দিতে পারে।
গত আগস্টের পর থেকে ইরাক অঞ্চলে লড়াইরত আইএস জঙ্গিদের স্থাপনা ও অবস্থান লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ বিমান হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সামরিক জোট। এরপর গত সোমবার জঙ্গি গ্রুপটির সিরিয়ায় লড়াইরত অংশের ওপরও লক্ষ্য করে হামলা চালানো শুরু করে পশ্চিমারা।
গত কয়েক মাসে ইরাক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অঞ্চল দখলে নিয়ে স্বতন্ত্র খেলাফত ঘোষণা করেছে আইএস।
দ্য কেরচোভ জানান, হতাহত এবং এখনও লড়াইরত ইউরোপীয়দের এই তিন হাজারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ) এক প্রতিবেদনে জানায়, আইএসের হয়ে প্রায় ৩১ হাজার জঙ্গি ইরাক-সিরিয়া দখলে লড়াই করছে।
ইইউ’র সন্ত্রাস-বিরোধী সংস্থাটির হিসাব মতে, জঙ্গি গ্রুপটির হয়ে সবচেয়ে বেশি লড়ছে তিউনিশিয়ান যোদ্ধারা। দেশটির প্রায় তিন হাজার নাগরিক আইএসের সক্রিয় সদস্য। এছাড়া, সৌদি আরবের দুই হাজার পাঁচশ’, জর্দানের দুই হাজারোধিক, মরক্কোর এক হাজার পাঁচশ’, লেবাননের প্রায় এক হাজার, রাশিয়ার প্রায় সাড়ে সাতশ’, ফ্রান্সের প্রায় সাতশ’, লিবিয়ার প্রায় ছয়শ’ এবং যুক্তরাজ্য ও তুরস্কের প্রায় ৫শ’ করে নাগরিক আইএসের হয়ে লড়াই করছে।
জঙ্গি গ্রুপটিকে দমনে ইতোমধ্যে সামরিক অভিযানসহ বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে পশ্চিমা ও আরব রাষ্ট্রগুলোর জোট।