কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের চর খিতাবখাঁ গ্রামের বাসিন্দারা তিস্তার ভাঙনের তীব্রতায় দিশেহারা। গত ১৫ দিনে এই অঞ্চলে ভাঙনে ৯টি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে, আর হুমকির মুখে রয়েছে আরও ৫০-৬০টি বাড়ি।
স্থানীয়রা জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বারবার অনুরোধ করা হলেও পর্যাপ্ত প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সীমিত পরিসরে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙন ঠেকানো সম্ভব হচ্ছে না।
কৃষক হামিদ আলী বলেন, “আমার এক একর জমি নদীতে চলে গেছে, এখন খাওয়ার জমিও নেই।” আরেক বাসিন্দা, জাহেদা বেগম বলেন, “নদীর ভাঙনে শেষ মাথায় চলে এসেছি, থাকবার জায়গাও পাচ্ছি না।”
স্থানীয় চেয়ারম্যান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বাজেট সংকটের কারণে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, বাজেট সংকটের কারণে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সহায়তা দিতে পারছি না। তবে স্কুলটি রক্ষায় আমরা ইতোমধ্যে তিনশ জিও ব্যাগ ফেলেছি। আরও জিও ব্যাগের জন্য চাহিদা দেওয়া হয়েছে। এখন সীমিত আকারে পাচ্ছি। ফলে আমাদের ইচ্ছে থাকলেও সব ভাঙন কবলিত এলাকায় যেতে পারছি না।