দ্রুত হারে গ্রাহক হারাচ্ছে মালয়েশীয় বিমান সংস্থা

উড়ন্ত ভূতুড়ে শহর’। এ নামেই ইদানীং ডাকা হচ্ছে মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সকে। উড়ানে যাত্রীর অভাবে মোটা লোকসান গুনে রোজই বিমান চালাতে হচ্ছে সংস্থাকে। তবে ভিড় হাল্কা হওয়ায় বেজায় খুশি কেউ কেউ।

একের পর এক দুর্ঘটনার জেরে দ্রুত হারে গ্রাহক হারাচ্ছে মালয়েশীয় বিমান সংস্থা। এখনও সন্ধান মেলেনি গত মার্চ মাসের ৮ তারিখে মাঝ আকাশে নিখোঁজ এমএইচ ৩৭০ বোয়িংয়ের ২৩৯ আরোহীর। পাশাপাশি ১৭ জুলাই ইউক্রেনের বিদ্রোহীদের গোলার আঘাতে আছড়ে পড়া এমএইচ ১৭ বিমানের ২৯৮ জন যত্রী-বিমানকর্মীর মৃত্যুতে ‘অভিশপ্ত’ তকমা লেগে গিয়েছে সংস্থার গায়ে। ফলে প্রতিদিন বিশ্বের নানা গন্তব্যে উড়ে যাওয়া সংস্থার বিমানে সফর করতে যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম অনীহা।

বিমানে মুষ্টিমেয় আরোহী, বিমানবন্দরের লাউঞ্জের ফাঁকা কাউন্টার, সারিবদ্ধ আসনে উড়ানের অপেক্ষায় থাকা মানুষের অভাব-সব কিছুই প্রমাণ করছে রুগ্ন সংস্থার ভগ্নস্বাস্থ্য। টুইটারে এই সমস্ত ছবির সঙ্গে পেশ হচ্ছে মুখরোচক মন্তব্যও। ১৭ অগস্ট জনহীন ওয়েটিং লাউঞ্জে গোটা পরিবারের সঙ্গে পোজ দেওয়া ছবি টুইটারে পোস্ট করে এক যাত্রী মালয়েশীয় উড়ান সংস্থাকে ‘বিস্ময়কর ভাবে আরামদায়ক যাত্রার জন্য’ ধন্যবাদও জানিয়েছেন।

আবার সংস্থার হালের বদনামের প্রতি কটাক্ষ করে এক মহিলা জানিয়েছেন, মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বিমানে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছেছেন তার মা।

এদিকে, যাত্রী সংখ্যা এক ধাক্কায় কমে যাওয়ায় পাঁপরে পড়েছে সংস্থা। গ্রাহক টানতে অতএব ভাড়ায় বিপুল ছাড় ঘোষণা করা হয়েছে। তবে তাতে লোকসান রদ করা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে অবশ্য, গত কয়েক বছর ধরেই ঘাটতি হচ্ছিল মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের আয়ে। এবার দুর্ঘটনার জেরে তা গতি পেয়েছে। কী ভাবে এই দুঃস্বপ্নের পর্ব শেষ করবে সংস্থা, তা নিয়েই চলেছে পর্যালোচনা।

Comments (0)
Add Comment