ধর্মঘটের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তপ্ত রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়


বেরোবি প্রতিনিধিঃ
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটে বাধা দিতে ও তালা ভাঙার চেষ্টা করলে এক পর্যায়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এঘটনায় দফায় দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে ধর্মঘটের বিপক্ষের কতিপয় শিক্ষার্থী ।পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয় ।

জানা যায়, সোমবার সকাল থেকেই কোন একাডেমিক ভবন না খোলায় কোন ক্লাশ-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি। দুপুর সাড়ে ১২ টায় ধর্মঘটের বিপক্ষের কিছু ছাত্র কবি হেয়াত মামুদ ভবনের তালা ভাঙতে গেলে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের সাথে বাকবিতন্ডায় সৃষ্টি হয়। তবে তালা ভাঙার চেষ্টা ব্যর্থ হয়।

অবিলম্বে ভর্তি পরীক্ষার নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা ও গ্রহণ, ছাত্রদের আবাসিক হল চালু, ক্যাফেটেরিয়া চালু সহ উপাচার্যকে অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। বন্ধ রয়েছে সকল একাডেমিক ভবন।তবে নীলদলের পক্ষের দুজন শিক্ষক খোলা আকাশের নিচে ক্লাস নিয়েছে বলে জানা যায় ।

আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন, এই উপাচার্য থাকা পর্যন্ত এই ক্যাম্পাসে কোনো কাজ করতে দেওয়া হবে না। তাঁরা আরো বলেন, উপাচার্য এককভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে জিম্মি করে রাখতে পারেন না। একই সঙ্গে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ৯০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীর জীবন নিয়ে তিনি খেলতে পারেন না। তাঁকে অতি দ্রুত অপসারণ করে বিশ্ববিদ্যালয় সচল করা হোক।

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সংগঠনের অধিকার আদায়ের আন্দোলন চলার ফলে বেরোবিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। গত দুই মাস ধরে প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝোলানো থাকায় কার্যত অচল রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম। বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. একেএম নূর-উন-নবী এসব সমস্যার সমাধান না করে দিনের পর দিন ঢাকায় অবস্থান করার ফলে সমস্যা প্রকট আকার ধারন করে। যার ফলে ২০১৪-১৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা সহ বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাশ-পরীক্ষাসহ অন্যান্য কার্যক্রম। আজ থেকে বন্ধ হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমগ্র কার্যক্রম।

Comments (0)
Add Comment