নান্দাইল প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার বারইখালী নদীর উপর পাকিস্তান আমলে নির্মিত ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। সংস্কারের অভাবে সেতুর উভয় পাশে রেলিং ভেঙ্গে নদীগর্ভে পড়ে যাওয়ায় ১০ হাত গভীর গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুর মধ্যভাগে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। গর্তের উপর বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্রিজটির উপর দিয়ে প্রতিদিন আটটি গ্রামের মানুষ সহ স্কুল-কলেজ, মাদরাসা, হাট-বাজারের শত শত লোক পারাপার হচ্ছে। জানা যায় ব্রিজটি পারাপারের সময় ইতোপূর্বে ২ জন নিহত ও ৮ জন গুরুতর আহত হয়েছে। ২০ বছর যাবৎ পর্যায়ক্রমে নির্বাচিত সংসদ সদস্যগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি ও সরাসরি আবেদন দাখিল করেও কোন কাজ হয়নি। দুই দশক আগে স্থানীয় প্রকৌশলী সেতুটি পরিদর্শন করে লাল পতাকা স্থাপন করে বিপদজনক ঘোষণা করেন। এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এবং স্থানীয় এলাকাবাসী জানান ভোটের আগে প্রার্থীরা এ সেতুটি পরিদর্শন করে পুনর্নির্মাণের আশ্বাস দিলেও বিজয়ী হওয়ার পর এ পর্যন্ত সেতুটি কোন উদ্যোগ গৃহিত হয়নি। ব্রিজটি অতিক্রম না করে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের যোগাযোগ করার কোন বিকল্প না থাকায় সেতুটি এখন এলাকাবাসীর জীবনমান উন্নয়নে বিরাট বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ অবস্থায় এলাকাবাসী নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য মো. আনোয়ারুল আবেদীন খাঁন তুহিন ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে।