গত ৫এপ্রিল/২০১৮ নীলফামারী-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা ৬নং শিমূলবাড়ী ইউনিয়নে স্থায়ী নিকাহ্ রেজিষ্টার(কাজী) নিয়োগের জন্য হাড়োয়া শিমূলবাড়ীর মতিয়ার রহমানের ছেলে ওই এলাকার দূর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার ২০১৩ সালে হরতাল চলাকালীন সময়ে উত্তর বেরুবন্দ বড়বাড়ী এলাকায় হিন্দু স¤প্রদায়ের বাড়ীতে অগ্নি সংযোগ,ভাংচুর ও লুটতারাজ মামলার চার্জসীট ভুক্ত ৩নং আসামী এবং বর্তমানে ইবনে সিনা কোম্পানীতে কর্মরত মনছুর আলীকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের দাবী করে আইন মন্ত্রণালয়ে একটি ডিও লেটার প্রেরণ করেন এবং যার প্রেক্ষিতে মনছুর আলী নামে প্যানেল তৈরীর জন্য গত ১৭মে /২০১৮ আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচীব বুলবুল আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি উপজেলা সাব-রেজিষ্টারকে প্রেরণ করেন। ঘটনাটি জানাজানি হলে ওই এলাকার সংখ্যালঘু স¤প্রদায়সহ স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
সরেজমিনে গিয়ে ওই হামলায় ক্ষতিগ্রস্থ ও মামলার বাদী রনজিত কুমার রায়ের সাথে কথা হলে আক্ষেপের সাথে তিনি বলেন, আমাদের এমপি সাহেবের শরীরে আওয়ামীলীগের রক্ত আছে কিনা আমার সন্দেহ আছে। জীবন বাজী রেখে আমরা তাকে ভোট দিয়ে এমপি বানাছি,আর উনি আওয়ামীলীগ বানায় জামাত শিবিরের লোকজনকে।
মনছুর আলীর বিষয়ে শিমূলবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক সুনীল কুমার রায় বলেন, আমার জানা মতে তার গোটা পরিবার জামাত শিবিরের সাথে জড়িত এবং শিমূলবাড়ী ইউনিয়নের নাশকতার মামলার আসামী। এমপি সাহেব তাকে স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষ বলে ডিও লেটার দেওয়ায় ইউনিয়ন আ’লীগের পক্ষে থেকে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাছি।
নাশকতা মামলার চার্জসীটভুক্ত আসামীকে কাজী নিয়োগে ডিও লেটার ও স্বাধীনতার স্বপক্ষের লোক বলে সুপারিশ করার বিষয়ে স্থানীয় এমপি অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা’র সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে,তিনি অসুস্থ্য এ বিষয়ে পরে কথা বলবেন বলে ফোন কেঁেট দেন।