সর্বশেষ বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) চারদিনের ম্যাচে খেলা হয়নি তার। জাতীয় লিগেও (এনসিএল) অনেক সময় জায়গা হয় না একাদশে। জুবায়ের মনে করেন ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলার অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ম্যাচে কাজে লাগানো যায়। ঘরোয়া লিগে তাকে সাইড বেঞ্চে রাখা হলেও এ নিয়ে অনুযোগ নেই জুবায়ের হোসেনের। তবে নিয়মিত খেলার আকুতি রয়েছে তার।
রোববার (৩০ আগস্ট) মিরপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জুবায়ের জানান, ‘একজন খেলোয়াড়ের কাজ হচ্ছে খেলা। ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা আন্তর্জাতিক ম্যাচে কাজে লাগানো যায়। যেখানেই খেলি আমার কাজ হবে পারফর্ম করা। এবারের জাতীয় লিগে যেহেতু খেলার সুযোগ আছে…। আমার কাজ হলো ভালো খেলা এবং অভিজ্ঞতা অজর্ন করা। এ জন্য বেশি বেশি ম্যাচ খেলা গুরুত্বপূর্ণ। তবে খেলতে না পারা নিয়ে আমি মাথা ঘামাই না।’ সামনেই টাইগারদের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ।
দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় আসবে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল। আর তাতে হোম কন্ডিশনের সুবিধা কাজে লাগানো যাবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের হয়ে ৬টি টেস্ট খেলা এই লেগি, ‘আসলে আমাদের উইকেটে টার্ন বেশি থাকে, ¯ে¬া থাকে। এগুলো আমাদের অ্যাডভানটেজ। চেষ্টা থাকবে তা কাজে লাগানোর। আমার সবসময় চেষ্টা থাকে ভালো জায়গায় বল করা এবং দলকে ব্রেক-থ্র“ এনে দেওয়া। আল্লাহর রহমতে, আমার মধ্যে সেটা আছে।’
অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য কিভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন-এমন প্রশ্নের জবাবে জুবায়ের জানান, ‘শেষ কয়েকটা ম্যাচে বোলিংয়ে যে ঘাটতিগুলো ছিল সেগুলো নিয়ে কাজ করছি। অ্যাকুরেসি নিয়ে বিশেষভাবে কাজ করছি। একজন লেগস্পিনারের জন্য একই জায়গায় বারবার বল ফেলা খুব কঠিন। ওটা নিয়েই বেশি কাজ করছি। ভালো মানের লেগস্পিনার হওয়া একটা সাধনার ব্যাপার। অনেক সময় লাগে। আমি তাড়াহুড়ো করছি না। চেষ্টা করছি প্রতিনিয়ত উন্নতি করার, সেভাবেই পরিশ্রম করছি। শারীরিক ও টেকনিক্যাল বিষয় নিয়েও কাজ করছি।’
ভালো মানের লেগস্পিনার হতে হলে কাউকে ফলো করতে হয়। কাকে ফলো করেন-এমন প্রশ্নের উত্তরে জুবায়ের জানান, ‘শেন ওয়ার্ন। ওনার বল খুব বড় টার্ন করতো। বলে ভেরিয়েশন থাকতো। এখনো ওনার বোলিং দেখি। যেহেতু ওয়ার্ন এখন খেলেন না, তাই ইমরান তাহিরকে ফলো করি।’
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/এস