অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিক মোঃ হিমেল মোল্যা জানান, প্রতিটি ভাটায় অনবরত কাঠবোঝাই যানবাহন প্রবেশ করে। ভাটাগুলোতে মজুদ রয়েছে হাজার হাজার মণ কাঠ। কয়লার পরিবর্তে জ্বালানি হিসেবে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। কৃষিজমি এবং জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে ওঠা এসব ভাটায় স্বল্প উচ্চতার টিনের তৈরি চিমনি দিয়ে ধোয়া বের হচ্ছে। এতে ফসলসহ পরিবেশের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ছে। তিনি অভিযোগ করেন, নড়াইলে ইটভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে আইন না মানার যেন প্রতিযোগিতা চলছে।
নড়াইল পৌর এলাকার কৃষক রাজা মিয়া এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়কে জানান, ভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। ক্ষেতের পাশে ইটভাটা স্থাপন করায় আগের তুলনায় এখন জমিতে উৎপাদন অনেক কমে গেছে। সরকার যদি এই ভাটা গুলো ফসলী জমির কাছ থেকে সরিয়ে না নেয় তাহলে আগামি ৫ বছর পর হয়ত জমি থেকে কোন ফসল পাবনা।
নাম প্রকাশে অনুচ্ছুক এক ভাটার মালিক জানান, সাধারন্ত মধ্যম সারীর একটি ভাটায় বছরে ৪০/৫০ লক্ষ ইট পেড়ানো হয়ে থাকে। এ সংখ্যক ইট পোড়াতে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার হয় ৫০ থেকে ৭০ হাজার মন কাঠ। আর প্রতি ৮ হাজার ইটের জন্য কাঁচামাল হিসাবে ব্যবহার হয় ১হাজার ঘনফুট মাটি। যে মাটির যোগান দেওয়া হয় কৃষি জমি থেকে। এজন্য প্রতিটি ভাটায় বছরে ৫/৬ একর জমির উপরিভাগের মাটি ব্যবহার হয়। এ ভাবে প্রতি বছর শত শত একর জমির উপরিভাগের উর্বর মাটি ইটভাটাতে ব্যবহারের ফলে উর্বর ফসলী জমির অভাবে অচিরেই কৃষিতথা পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এদিকে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটা পরিচালনার ক্ষেত্রে ইটভাটা কতৃপক্ষের অজুহাতের শেষ নেই কিছু কিছু ইট ভাটার মালিক বলছে আমরা কয়লা দিয়ে ইট পোড়াতে চাই কিন্তু আমরা যদি কয়লা না পায় তাহলে কি করব। ভাটাতো বন্ধ রাখতে পারি না। তাই কাঠ পোড়াতে বাধ্য হচ্ছি। সরকার যদি পর্যাপ্ত পরিমান কয়লা আমদানির ব্যবস্থা করে তাহলে আমরা কাঠ না পুড়িয়ে কয়লা ব্যবহার করব।
নেজারত ডেপুটি কালেকক্টর (এনডিসি) জাকির হোসেন এ প্রতিবেদক উজ্জ্বল রায়েকে জানান, নড়াইলে কিছু ইটভাটা মালিক কয়লা ব্যবহার না করে কাঠ পোড়াচ্ছেন। আমরা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এসব ভাটায় নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি এবং জরিমানা করেছি।তিনি আরও বলেন আইন আমান্যকারী সকল ইটভাটা মালিকদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।