পদ্মায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, নিুাঞ্চল প্লাবিত

মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি:

উপজেলার মাওয়া ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানি রবিবার সকাল ৯টায় বিপদসীমার আট সেন্টিমিটার উপর দিয়ে বইছিল। এতে মুন্সীগঞ্জ জেলার শ্রীনগর, লৌহজং ও টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মা অববাহিকার নিুাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। শরতের এই বন্যায় পানিবন্দি মানুষের কষ্টের যেন সীমা নেই। আগাম ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। তিন উপজেলার বহু মানুষ পড়েছে নানা দুর্ভোগে। উজানের পানি নেমে আসার কারণে এই অঞ্চলের বন্যা পরিস্থিতি আরও কিছুটা অবনতি হতে পারে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশ ও পানি বিশেষজ্ঞ মো. আরিফুর রহমান। মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল হাসান বাদল ও স্থানীয় (মাওয়া) আওয়ামীলীগ নেতা শেখ জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট ইউএনওগণ তাদের নিজ নিজ উপজেলার সার্বিক পরিস্থিতি তদারকি করছেন। উল্লেখ্য, উপজেলার ভাগ্যকূল পয়েন্টে পদ্মার পানির নির্ধারিত বিপদ সীমা ৬.৩০সেন্টিমিটার। শনিবার সকালেই পদ্মার পানি এই বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলে। পরে সন্ধ্যায় বিপদসীমা অতিক্রিম করে।

মুন্সীগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রুহুল আমিন জানান, পূর্বাভাস অনুযায়ী ২৮ আগস্ট পদ্মার এই পয়েন্টে পানি আরও বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১১ সেন্টিমিটার উপরে উঠতে পারে। এই পয়েন্টে সর্বোচ্চ পানি ছিল ১৯৯৮ সালের বন্যায়। যা বিপদসীমার ১.২৮মিটার বা ১২৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল।

Comments (0)
Add Comment