পৃথিবীর এক প্রান্তে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে যখন একটি চাকরির অভাবে মানুষের জীবন বাঁচানো কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছে, তখন অন্য প্রান্তে মানুষ খুঁজছে সবচেয়ে দামি চাকরিগুলো। এমন কিছু চাকরি আছে বিশ্বে; যেখানে বেতনের অঙ্কটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মত। তবে এ ধরনের কাছে নিজেকে উপযুক্ত করতে হলে চাই আকর্ষণীয় দক্ষতা, এমন সব গুণ যা অন্যদের মধ্যে নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে দামি চাকুরিগুলোর দিকে একবার চোখ বুলানো যাক–
কানাডা: বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক- ১৯৭ হাজার ইউরো
কানাডায় একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের বাৎসরিক বেতন ১৯৭ হাজার ইউরো বাংলাদেশি টাকায় যা প্রায় দেড় কোটি টাকার চেয়েও বেশি। তবে কানাডায় এই চাকরি পেতে হলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে বহু পথ। প্রথমেই একটি স্বীকৃত মেডিকেল স্কুল থেকে ভালো ডিগ্রি অর্জনের পর এক বছরের বিশেষজ্ঞ টেনিং লাগবে। পুনরায় তাদেরকে রয়্যাল কলেজ অব ফিজিশিয়ান এন্ড সার্জিঅনস অব কানাডা থেকে পরীক্ষা দিয়ে স্বীকৃতি অর্জন করতে হবে। পরে তাদেরকে আবার নগর সরকার থেকেও লাইসেন্স পেতে হবে।
দুবাই: পরিচালক-১৯১ হাজার ইউরো
দুবাইয়ে একজন দক্ষ পরিচালকের বেতন ১৯১ হাজার ইউরো বা ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা। একটি কোম্পানির বার্ষিক বাজেট নির্ধারণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হয় পরিচালককে। দুবাইয়ের প্রতিষ্ঠিত কোনো কোম্পানিতে যদি আপনি পরিচালকের পদটি পেতে চান তাহলে আপনাকে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন বা ফিন্যান্সে ডিগ্রির পাশাপাশি এমবিএ ডিগ্রিটাও লাগবে। শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, এ পদের জন্য নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করতে হলে অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান, বাজেট, ব্যয় নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিষয়ে অত্যন্ত গভীর জ্ঞান থাকাটা জরুরি।
সিঙ্গাপুর: ব্যবস্থাপনা পরিচালক-১৮২ হাজার ইউরো
সিঙ্গাপুরে এ পদের জন্য উপযুক্ত একজনের বেতন ১৮২ হাজার ইউরো বা ১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। পদটির বেতন কোম্পানিভেদে একটু এদিক সেদিক হতে পারে। তবে সব কোম্পানিতেই এই পদটির কাজে কোনো ভিন্নতা নেই। কোম্পানির কৌশল ঠিক করা, সেগুলো যথাযথভাবে প্রণয়ন করা, মানোন্নয়ন এসবই একজন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের মূল কাজ। এ কাজের জন্য বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন, ম্যানেজমেন্ট বা সহযোগী অন্য বিষয়গুলোর উপর ব্যাচেলর ডিগ্রি থাকতে হবে। একটি একটি এমবিএ ডিগ্রি এখানে বাড়তি যোগ্যতা হিসেবেই দেখা হয়।