কুড়িগ্রাম সংবাদদাতা:
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার টগরাই হাট এলাকায় প্রেমিকের ধাক্কায় অটোরিকশা থেকে পড়ে তুলি (১৮) নামের এক প্রেমিকার মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ওই তরুণী কুড়িগ্রাম পৌর শহরের পাঠান পাড়া গ্রামের মো. তৈয়ব আলীর মেয়ে। অভিযুক্ত প্রেমিক একই এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে সোহাগ (২২)।
বৃহস্পতিবার (৭অক্টোবর) বিকেলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই তরুণীর মৃত্যু হয়।গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণী ৮ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর জেলার রাজারহাট উপজেলায় ঘুরতে যান ওই প্রেমিক যুগল। পরে রাজারহাট থেকে কুড়িগ্রাম শহরে ফেরার পথে টগরাই হাট নামক এলাকায় একটি ব্রীজের ওপর ওই তরুণীকে অটোরিকশা থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে পালিয়ে যায় প্রেমিক। পরে স্থানীয় লোকজন গুরুত্ব আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানেই বৃহস্পতিবার বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি বলেন, এক সপ্তাহ আগে ওরা দুজন ঘুরতে যায় রাজারহাট উপজেলায়। সেখান থেকে ফেরার পথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে টগরাই হাট এলাকায় প্রেমিক সোহাগ অটোরিকসা থেকে তুলিকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই তরুণীকে প্রথমে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। নিহত তরুণী কুড়িগ্রাম পলিটেকনিকেল ইনস্টিটিউটের ছাত্রী বলে জানা গেছে।
রাজারহাট থানার পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু সরকার এ ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া কথা স্বীকার করে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই তরুণীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।