বুধবার দুপুর ২ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এরা হলেন, রনি, তারেক, দেবাশীষ, সুজন ও নাসির। মামলার আসামি এবং গ্রেফতারকৃতরা সবাই বরিশালের পরিবহন শ্রমিক এবং এদের বাসা নগরীর নথুল্লাবাদ থেকে কলাডেমা এলাকায়।
মামলার অভিযোগের উদ্বৃতি দিয়ে বিমানবন্দর থানা পুলিশের এসআই আব্দুর রহমান মুকুল জানান, ভূরঘাটা এলাকার পরিবহন শ্রমিক মো. হাসান তার স্ত্রীর (১৮) এসএসসি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর তারা দুই জন, স্ত্রীর এক সহপাঠী (১৮) এবং হাসানের বন্ধু আরিফ কুয়াকাটা বেড়াতে যায়। গত ২৩ জানুয়ারি বিকেলে তারা কুয়াকাটা থেকে সহকর্মী মিজানের বাসে (অনন্যা পরিবহন) বরিশালের উদ্দশ্যে রওয়ানা করে। ওইদিন রাতে তারা বরিশালের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে পৌঁছলে অপর সহকর্মীরা হাসানের স্ত্রী ও তার সহপাঠীকে তাদের নিজ গ্রাম বানারীপাড়ার চাখারে পৌঁছে দেয়ার কথা বলে নাসির ড্রাইভারের বাসে (সেবা, বরিশাল-জ-১১-০০১০৫) উঠায়। বাসটি কিছুদূর যাওয়ার পর সহকর্মীরা বাসের দুটি সিটে হাসান ও আরিফকে বেঁধে ফেলে। এরপর বাসটি রাতভর নথুল্লাবাদ এবং রামপট্টি পর্যন্ত আসা যাওয়া করে এবং বাসের মধ্যে হাসানের স্ত্রীকে ৫ জনে এবং তার বান্ধবীকে ৩ জনে পালাক্রমে ধর্ষণ করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়। লোকলজ্জা আর নানা সামাজিক চাপের কারণে এতদিন মামলা করা যায়নি বলে মামলায় উল্লেখ করেন ধর্ষিতার স্বামী বাদী হাসান।
এসআই মুকুল আরো জানান, মামলা দায়েরের পর ৫ জনকে গ্রেফতার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আরেকজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অপরদিকে ধর্ষিতা দুইজনকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য শেরেবাংলা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর আদালতে ২২ ধারায় তাদের জবানবন্দি গ্রহণ করা হবে।