এ সময় তারানা হালিম বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম প্রযুক্তিনির্ভর প্রজন্ম। নতুন এই প্রজন্মের প্রযুক্তির প্রতি এ আকর্ষণ বেশি। এটিকে ইতিবাচকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তাদেরকে সাইবার স্পেসে বিচরণ করতে হবে। গত কয়েকবছরে টেলিকমিউনিকেশনে আমাদের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। এ প্রজন্মের কাছে এখন কম্পিউটার ও মোবাইলের মতো উন্নত হাতিয়ার রয়েছে। কিন্তু এগুলো ব্যবহার যাতে করে ইতিবাচকভাবে হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। ”
তিনি আরও বলেন, “সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন কোনো পোস্ট দেওয়া উচিত নয় যাতে কারও সম্মানহানি হয় অথবা কাউকে ছোট করা হয়। এ দিকে সকলের খেয়াল রাখতে হবে। এ প্রজন্মের মেয়েদের কম্পিউটার লিটারেসিতে এগিয়ে আসতে হবে। এ জন্য লজ্জা ভেঙে বাবা-মাকেও উদ্যোগ নিতে হবে। দেখতে হবে সন্তান ইন্টারনেট দিয়ে কি করছে। ”
টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মোবাইল হাতে আছে কিন্তু তাতে ইন্টারনেট নেই তা হবে না। মোবাইলে ইন্টারনেট থাকতে হবে। এ সেবা পৌছে দেওয়া আমাদের অন্যতম উদ্দেশ্য। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বিটিসিএল গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়ে দেখছে ইন্টারনেটের গতি কেমন। আমরা চাই যেখানে যে গতির কথা বলা হয়েছে সেখানে তা পাচ্ছে কি না। আমরা চাই এ ধরনের অন্য অনুষ্ঠানেও উদ্যোক্তারা বিটিসিএলকে বলুক। আমরা এ ধরনের আয়োজনের সঙ্গে থাকতে চাই। ”
কর্মশালায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি ও অপারেশন) আবদুর রব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের স্থানীয় উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ নাইমুজ্জামান মুক্তা, মাইক্রোসফট বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোনিয়া বশির কবির প্রমুখ বক্তব্য দেন।