বাগেরহাট সংবাদদাতা: ঈদের দিনে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে তরুণীটিকে নিয়ে বের হয়েছিলেন তার কথিত প্রেমিক। কিন্তু ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে একটি মাছের ঘেরে তরুণীটিকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর রাতভর দল বেঁধে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেছে মেয়েটি।
দুপুরে ওই তরুণী বাদী হয়ে রামপাল থানায় করেন। তার অভিযোগ, মঙ্গলবার তাকে রামপাল সদর ইউনিয়নের ওড়াবুনিয়া গ্রামে আব্দুল হামিদের মাছের ঘেরে নেয়া হয়। সেখানে একটি ঘরে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
মামলার আগেই ছয় আসামিকে পুলিশে তুলে দেন স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি। এরা হলেন- মুক্ত সরদার, হাসান শেখ, শেখ বেলায়েত হোসেন, রামপাল সদরের ইসমাইল শেখ, রাজু শেখ ও ঘের মালিক আব্দুল হামিদ।
রামপাল উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ডাবলু ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘২৫ বছর বয়সী একটি মেয়েটির সঙ্গে পাশের ওড়াবুনিয়া গ্রামের এক তরুণের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঈদের দিন বিকালে ফোন পেয়ে মেয়েটি তার প্রেমিকের কাছে যায়। এরপর ওই তরুণ তাকে আব্দুল হামিদের মাছের ঘেরে যায়। সেখানে আগে থেকে বসে থাকা ছয়জনে মিলে রাতভর মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।’
এই ছয়জনের মধ্যে ইসমাইলের বাবা ইব্রাহিম এই কথা জানতে পেরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নজরুল ইসলাম ডাবলুকে জানান। সকালে ডাবলু অভিযুক্ত ছয় যুবককে ডেকে পাঠালে তারা অভিযোগ স্বীকার করে। পরে নজরুল তাদেরকে পুলিশে তুলে দেন।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘মেয়েটিকে তারা ধর্ষণ করেছে বলে পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের থানায় রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মেয়েটি বাদী হয়ে রামপাল থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’