বেরোবিতে ৮ দফা দাবিতে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থীদের মানব্বন্ধন

মাহফুজুল ইসলাম বকুল || সেশনজট নিরসন, পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগ, সেমিস্টার অনুত্তীর্ণদের জন্য বিশেষ পরীক্ষা গ্রহণ, উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়ন করে ফলাফল সংশোধনসহ ৮দফা দাবিতে মানব্বন্ধন করেছে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করে তারা ঘন্টাব্যাপী এই কর্মসুচি পালন করে।
এ সময় শিক্ষাথীরা অভিযোগ করে বলেন, শুরু থেকেই নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে বিভাগটির শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে চার বছরের অনার্স কোর্স শেষ হতে সময় লাগছে ৭ থেকে ৮ বছর। তৈরি হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী সেশনজট। নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। বিভাগে মোট ৯ জন শিক্ষক থাকলেও ৩ জনই গবেষণা সংক্রান্ত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। হার্ডওয়্যার ল্যাবে নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ। পরীক্ষা শেষ হবার অনেক পরে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়। সবগুলো কোর্স একসাথে আরম্ভও হয়না। সেমিস্টারের কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও দেখা যায় অনেক কোর্স শুরু হয়নি। মাসের পর মাস পরীক্ষা ঝুলিয়ে রাখার ঘটনাও অনেক। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে ফলাফল দেবার নিয়ম থাকলে তা প্রকাশ করতে ৮ থেকে ১০ মাস লেগে যায়। পাশাপাশি সেশনের মধ্যে দুই সেমিস্টারের ব্যবধান থাকার কথা থাকলেও এখানে প্রত্যেক সেমিস্টারেই একটি করে ব্যাচ রয়েছে। পাশাপাশি সেমিস্টারের পরীক্ষা কাছাকাছি সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় বলে মানোন্নয়নসহ সেমিস্টার অনুত্তীর্ণরা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুর্নাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে পরবর্তী ব্যাচের সাথে পরীক্ষা দিতে পারেনা। অনুত্তীর্ণদের পঞ্চাশ নম্বরের কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্ট নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। শিক্ষাজীবনে নেমে আসে নতুন বিপর্যয়। তারা আরও বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে ২০১২-১৩ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত ফলাফলে ৭ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। স্বাভাবিক নিয়মে উক্ত সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা পুনরায় দেবার নিয়ম রয়েছে।
মানববন্ধনে উক্ত বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, একই দাবীতে গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা।

Comments (0)
Add Comment