মঙ্গলযানের সঙ্গে পাঠানো স্যাটেলাইট মঙ্গলের ছবি তুলে ভূপৃষ্ঠে স্থাপিত কেন্দ্রে পাঠায়। ৭ হাজার ৩০০ কি.মি ওপর থেকে ৩৭৬ স্পাটিয়াল রেজ্যুলেশনে ছবিগুলো তোলা হয়। ছবিতে মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠে গর্ত দেখা যায়।
আইএসআরও এই টুইটারে জানায়, ছবির মান ভালো। দশটি ছবি পাঠিয়েছে মঙ্গলযান।
আইএসআরও এর একটি দল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে ছবিগুলো উপস্থাপন করে।
বুধবার মঙ্গলযান মঙ্গলের কক্ষপথে সফলভাবে অবতরণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করে। এর একদিনের মাথায় ছবি পাঠালো মঙ্গলযান। আগামী ছয়মাস মঙ্গলের কক্ষপথকে প্রদক্ষিণ করে সংগ্রহ করা তথ্য পাঠাবে মঙ্গলযান। মঙ্গলে প্রাণের সন্ধানও করবে মঙ্গলযান।
এটাই ভারতের প্রথম কোনো মঙ্গল অভিযাত্রা। মিশনে খরচও কম হয়েছে ভারতের। যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ মিশন ম্যাভেন পাঠাতে যা খরচ হয়েছিল তার দশভাগের একভাগ খরচ হয়েছে এ মিশনে।
ভারতের গণমাধ্যমগুলো আইএসআরও’র সাফল্যকে, ‘ঐতিহাসিক অর্জন’ বলে অভিহিত করেছে।
মহাকাশযান সফলভাবে অবতরণের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এমওএম (মিশনের নাম) কখনো হতাশ করে না। আমরা অজানাকে জানতে সাহস দেখিয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমরা প্রায় অসম্ভবকে সম্ভব করেছি। বিশ্বে এ পর্যন্ত ৫১টি মিশনের মধ্যে মাত্র ২১টি সফল হয়েছি। আমরা প্রথমবারেই সফলতা পেয়েছি।
এর আগে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ মঙ্গলে মহাকাশযান সফলভাবে পাঠাতে পেরেছে। ভারতের এই সাফল্যকে এশিয়ার সাফল্য হিসেবেও দেখা হচ্ছে।