রাশিয়ান ভোক্তা নিরাপত্তা সংস্থা রসপট্রেবনাজোর’র উদ্ধৃতি দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলো বৃহস্পতিবার এ খবর জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানীর চারটি ম্যাকডোনাল্ডস রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার পর চেইন শপটির ‘পণ্যের মান যাচাইয়ে’ উড়াল প্রদেশের রেস্টুরেন্টগুলোতেও ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে রসপট্রেবনাজোর।
ভোক্তা নিরাপত্তা সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, ক্রাসনোদার এলাকায় ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া ম্যাকডোনাল্ডসের রেস্টুরেন্টগুলোতেও ব্যাপক ভিত্তিতে অভিযান চালানো হবে।
পণ্যের ‘মান’ যাচাইয়ে এ অভিযান চালানো হচ্ছে জানানো হলেও পরবর্তী পদক্ষেপ সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ‘প্রশাসনিক নিয়ম নীতি লঙ্ঘনের’ দায়ে মস্কোর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত তিনটি ম্যাকডোনাল্ডস রেস্টুরেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তখন জানানো হয়, রাশিয়ায় থাকা ম্যাকডোনাল্ডসের অন্য রেস্টুরেন্টগুলোর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
চীনের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পচা মাংস কিনে সেসব দিয়ে পণ্য প্রস্তুত করে ভোক্তাদের সরবরাহ করায় সম্প্রতি কেএফসি, পিৎজা হাটের মতো কড়া সমালোচনার মুখে পড়ে ম্যাকডোনাল্ডসও।
এরই মধ্যে গত ৮ আগস্ট আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর খবরে জানানো হয়, কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর পর একমাসের মধ্যে ২ দশমিক ৫ শতাংশ ভোক্তা কমে গেছে ম্যাকডোনাল্ডসের।
মাত্র ত্রিশ দিনের মধ্যে আড়াই ভাগ ভোক্তা কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে এই পচা মাংস কেলেঙ্কারি দৃশ্যত হলেও ম্যাকডোনাল্ডসের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
এর আগে, হংকংয়ে নিজেদের আউটলেটগুলোতে চিকেন নাগেট বিক্রি বন্ধ করে দেয় ম্যাকডোনাল্ডস। একইসঙ্গে মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি আরও বেশ কিছু খাবারও বিক্রি বন্ধ করে দেয় তারা।
নতুন কোনো মুরগির মাংস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে বলে জানানো হয়।
ভোক্তাদের মেয়াদোত্তীর্ণ বা পঁচা মাংস খাইয়েই আলোড়ন সৃষ্টি করে কেএফসি, পিৎজা হাট, ম্যাকডোনাল্ডস-সহ বেশ কিছু প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠান।
পচা মাংস কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এসব প্রতিষ্ঠানের মুরগির মাংস সরবরাহকারী চীনের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাংহাই হুসি ফুডের পাঁচ কর্মকর্তাকে সম্প্রতি আটক করা হয়।
এ কেলেঙ্কারি ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়েছে প্রতিষ্ঠানগুলো। কেলেঙ্কারির জেরে ভোক্তা কমতে থাকলেও তাদের স্পষ্ট পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।