মাদারীপুর প্রতিনিধি ॥
মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সাঈদুজ্জামান খানকে অফিস চলাকালিন সময় তার অফিসে ঢুকে শারীরিক লাঞ্চিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার বিকেল সারে ৫টার দিকে তার অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে রাতে কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, কালকিনি উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মাধ্যমে উপজেলার জনসাধারণের মধ্যে ওএমএস এর বরাদ্দকৃত চাল বিতরণের সরকারী পত্র ১০ মার্চ হাতে পান ভারপ্রাপ্ত ইউএনও সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সাঈদুজ্জামান খান।
পত্রটি নথিতে উপস্থাপন করে সভা আহবানের মাধ্যমে ডিলারের তালিকাসহ উপস্থাপনের জন্য নোট লেখা হয়।
১৪ মার্চ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে ওএমএস এর চাল বিতরণের জন্য একটি রেজুলেশন তৈরী করে তাতে ১০ মার্চের তারিখে স্বাক্ষর করতে বলেন কালকিনি উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মো. শাজাহান খান, কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্দু বালা ও এলএসডি রাসেদুজ্জামান খান।
বিষটি অবৈধ বলে তাতে স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করেন সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাঈদুজ্জামান খান।
এ সময় কালকিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তৌফিকুজ্জামান শাহিন সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাঈদুজ্জামান খানকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে ফাইলে স্বাক্ষর করতে বলেন। এতেও তিনি অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরে বিকেল সারে ৫ টার দিকে সহকারী কমিশনার (ভুমি) এর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে এবং ইউএনওকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন। এ সময় স্থানীয় মো. শাহআলম সরদার ও বাচ্চু হাওলাদারসহ ৩ জনে মিলে সহকারী কমিশনার (ভুমি) সাঈদুজ্জামান খানকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করা হয়।
এ ঘটনায় কালকিনি থানায় সরকারী কার্যরত অবস্থায় অন্যায়ভাবে আক্রমণ করে কিল ঘুষি মারায় পেনাল কোডের ৩৩২/৩৫৩/১৮৬ ধারার অপরাধের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কালকিনি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মো. সাঈদুজ্জামান খান বলেন, কালকিনি উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে অবৈধ কাজের জন্য স্বাক্ষর দিতে বললে আমি তাতে রাজি না হলে তিনি ক্ষেপে আমার অফিসে এস হুমকী-ধামকী দিয়ে বের হলেই ২/৩জন ছেলে এসে আমাকে শারীরিক লাঞ্চিত করে। তাই এই ঘটনায় কালকিনি থানায় মামলা করা হয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কৃপা সিন্ধু বালা মামলার ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছেন।