মাগুরার বিআরটিএর বিদায়ী পরিদর্শক সজীব সরকার তার বিরুদ্ধে প্রচারিত মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।
সজীব সরকার জানান, “মাগুরার বিআরটিএর বিদায়ী পরিদর্শক সজীব সরকার এখন কোটি কোটি টাকার মালিক” শিরোনামে বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুক পেজে একাধিক সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। এসব সংবাদে তার গোপালগঞ্জে আলিসান বাড়ি এবং ঢাকায় ফ্ল্যাট থাকার অভিযোগ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন। এমনকি, তার স্ত্রীর বেনামে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার দাবিও অসত্য। এছাড়া, ফিঙ্গারপ্রিন্ট, লার্নার, ফিটনেস, ড্রাইভিং লাইসেন্স এবং চোরাই গাড়ির রুট পারমিট বিক্রির মতো অভিযোগগুলোকে তিনি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও সৃজিত বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয় বিআরটিএ-এর ভেন্ডর প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নিয়োগকৃত এনরোলমেন্ট অফিসারের মাধ্যমে। এখানে মোটরযান পরিদর্শকের কোনো ভূমিকা নেই। লার্নার লাইসেন্স ২০২১ সাল থেকে সম্পূর্ণ ডিজিটাল পদ্ধতিতে হয় এবং গ্রাহকরা নিজে অনলাইনে আবেদন করেন এবং নির্ধারিত দিনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। রুট পারমিট অনুমোদনের দায়িত্ব সম্পূর্ণ সহকারী পরিচালকের। এসব ক্ষেত্রেও মোটরযান পরিদর্শকের কোনো ভূমিকা নেই।
ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে একটি কমিটি কাজ করে, যার সদস্য হিসেবে জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি এবং সহকারী পরিচালক রয়েছেন। এই কমিটির সুপারিশ ছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের সুযোগ নেই। সজীব সরকার আরও জানান, চোরাই রুট পারমিটের বিষয়ে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সম্পূর্ণ সৃজিত। বরং, জনৈক টুটুলের চোরাই রুট পারমিটের বিষয়ে চাপের কাছে তিনি নতি স্বীকার না করায় তার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা সংবাদ তৈরি করা হয়েছে। চারটি সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম এবং নিউজ হুবহু এক, এতে প্রতিমান হয় যে, একই ব্যক্তি নিউজ তৈরি করে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করেছে।
তিনি এ ধরনের অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং এ ধরনের মিথ্যা সংবাদে প্রভাবিত না হওয়ার জন্য সকলকে অনুরোধ করেন।