লোহাগাড়া প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার আধুনগর মছদিয়া বড়–য়া পাড়ার গৃহবধূ তোপা বড়–য়ার হত্যার বিচার দেখতে চান তার অসহায় বাবা ননী গোপাল বড়–য়া। নিজের মৃত্যুর আগে মেয়ের মৃত্যুতে বাকহীন হয়ে কালযাপন করছেন এ পিতা। সর্বদা মেয়ের কথা বলে হাউ মাউ করে কান্নাকাটি করতে করতে সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন। মেয়ের মৃত্যুর পর ১০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন যথাক্রমে ছোটন বড়–য়া, উপয় বড়–য়া, মনছুর বড়–য়া, নান্টু বড়–য়া, সাজু বড়–য়া, বাবুল বড়–য়া, বিউটি বড়–য়া, সেবিকা বড়–য়া ও পটু বালা বড়–য়া। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, তোপা বড়–য়ার স্বামী বিদেশে থাকেন। আসামিদের সাথে তার জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তার স্বামীর অনুপস্থিতির সুযোগে আসামিরা তাকে অনেক বার নাজেহাল ও বদনাম রটিয়ে হত্যার হুমকি দিত বলে গত ১৮ জুন লোহাগাড়া থানায় একটি জিডি (নং-৭১৭) করেন। কিন্তু জিডি করার পর গৃহবধূ তোপা বড়–য়াকে বাঁচতে দিলনা ঘাতকরা। উল্লেখ্য, গত ১ আগস্ট বসতঘরের বীমের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে বসা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরদিন স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হলেও বসায় অবস্থার তার লাশ পাওয়ায় রহস্যের ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে থানায় ঘটনার দিন একটি অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়। পরবর্তীতে স্থানীয়দের দেয়া তথ্য ও জিডি সূত্রে আসামিদের নাম-ঠিকানা উল্লেখ করে আরো একটি মামলা (নং-৭) হয়েছে বলে তার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে অসহায় পিতা ননী গোপাল বড়–য়ার সাথে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, মামলা করেছি কিন্তু এখনো কোন আসামিকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে কি আমার মেয়ের হত্যার বিচার দেখে মরতে পারবো না?
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিপুল দেব নাথ জানান, ঘটনার নিবিড় তদন্ত কার্যক্রম চলছে এবং অভিযুক্তরা পালাতক থাকায় গ্রেফতারে বিলম্ব হচ্ছে। তবে পুলিশ তাদের বিভিন্ন জায়গায় সোর্সের মাধ্যমে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।