সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হাতের নাগালে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সরকার সারাদেশের ন্যায় এ উপজেলায় ৫১টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ করে। এসব ক্লিনিকে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে সরবরাহ করতো সরকার। যে কারণে মানুষ এর সুফল পেয়ে আসছে। কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকে কর্মরত কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনে নামায় ক্লিনিকগুলো প্রায় এক মাস ধরে বন্ধ থাকায় ভেঙে পড়েছে তৃণমূলের স্বাস্থ্যসেবা। ফলে প্রতিদিন চিকিৎসাসেবা নিতে আসা গ্রামের শত শত রোগী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
মোড়েলগঞ্জ উপজেলার ভাইজোড়া গ্রামের সেকেন্দার আলী বলেন, গত ৩/৪দিন ধুইরে ঠান্ডা জ্বরের ওষুধ নেওয়ার কমিউনিটি ক্লিনিকহাসপাতাল বন্ধ থাহায় আইজ (সোমবার) বড় হাসপাতালে ওষুধ নিবার আইছি।
বাংলাদেশ সিএইচসিপি অ্যাসোসিয়েশন মোড়েলগঞ্জ উপজেলা সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের নিয়োগ দেন। কিন্তু অদ্যাবধি আমাদের চাকরি জাতীয়করণ করেনি। তাই বিভিন্ন কর্মসূচি শেষে আমরণ কর্মসূচি পালন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিকের জননী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের চাকরি জাতীয়করণের ঘোষণা না দিবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামাল হোসেন মুফতি বলেন, বলেন, ‘সিএইচসিপিদের কর্মসূচির জন্যে তারা কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ রেখেছে। তবে আমরা স্বাস্থ্য সহকারী, পরিবার পরিকল্পনা সহকারীদের দিয়ে যথাসাধ্য সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি।