যে বাজে অভ্যাসগুলো আপনার চাকরির জন্য ক্ষতিকর


অন্যান্য ডেস্ক:
মানুষ সামাজিক জীব, সমাজের একটি নিয়মের মাঝেই তাদের বসবাস করতে হয়। যখনই সে ঐসব সামাজিক নিয়ম ভেঙ্গে ফেলবে তখনই সে সমাজের অন্যান্যদের চোখে হয়ে উঠবে একজন অসামাজিক ব্যক্তি বা খারাপ ব্যক্তি। বলা চলে অফিসও একটি সামাজিক প্রতিষ্ঠান। এখানেও একটি নিয়মের মাঝেই চাকরি করতে হয় প্রতিটি এমপ্লয়িকে। নিয়মের ব্যতিক্রম হলেই চাকরিটি চলে যেতে পারে নিমেষেই। আবার এমন কিছু বাজে অভ্যাস যেগুলোও চাকরিটিকে করে তুলতে পারে ঝুঁকিপূর্ণ। আসুন এসব বাজে অভ্যাসগুলো সম্পর্কে সতর্ক হই।

১. নেশাগ্রস্ত হলে :
নেশা করা কোনো সামাজিক কর্মকান্ডের মাঝে পড়ে না। এটি সবাই অনেক অপছন্দ করেন। কেননা এটি মানুষকে অপ্রস্তুত করে ফেলে। ফলে অফিসের কোনো এমপ্লয়ি যদি নেশাগ্রস্ত হয়ে থাকে তাহলে তার কাজে মনোযোগ খুব কমই বসবে। তার মস্তিষ্কে বিচ্ছিন্নতা ঘটবে। ফলে সে হারিয়ে ফেলতে পারে তার চাকরিটি।

২. বসকে অমান্য করলে :
এই কথাটি সবারই জানা যে, প্রতিষ্ঠানের মালিক বসকে অমান্য করা মানে তার কাজকে অমান্য করা, অশ্রদ্ধা করা। আর এটি ঘটলে চাকরি চলে যাবে নিশ্চিত সাথে সাথে সুনামটিও নষ্ট হয়ে যাবে।

৩. কলিগদের সাথে বাজে ব্যবহার করলে :
কথায় আছে ব্যবহারে বংশের পরিচয়। আর তাই কেউ যদি অফিসের কোনো কলিগের সাথে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে তার চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একটি সামাজিক সুশীল এসব প্রতিষ্ঠানে কখনই কলিগদের সাথে বাজে ব্যবহার করা উচিৎ না।

৪. কানাঘষার স্বভাব থাকলে :
কানাঘষার স্বভাবটি অত্যন্ত মন্দ একটি স্বভাব অর্থাৎ এর কথা তাকে লাগানো তার কথা একে লাগানো। এটি খুবই খারাপ একটি অভ্যাস। এই অভ্যাসটির কারণে চাকরি চলে যেতে পারে কেননা এতে অফিসের সুনাম নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫. কলিগকে বিরক্ত করলে :
কোনো কলিগকে যদি কেউ বিরক্ত করে থাকেন তাহলেও তার চাকরি চলে যাবে বলে ধারণা করা যায়। কেননা একটি সু¯’ পরিবেশেই অফিসের এমপ্লয়িরা কাজ করে থাকেন। সেই পরিবেশ যদি একজনের কারণে নষ্ট হয়ে যায় তবে তা অফিসের জন্য ক্ষতিকর। আর এই ক্ষতি অফিসের মালিক নিশ্চয়ই চাইবেন না। এর ফলে বিরক্তির উদ্রেককারককে চাকরি থেকে উচ্ছেদ করে দেয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

Comments (0)
Add Comment