এদিকে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে হরতাল পালনের আহ্বান করেছেন দলটির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
রোববার দুপুরে মহানগরীর কাচারী বাজার জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন মহানগর জাপার আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
এর আগে দুপুর ১২টায় দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা ও মহানগর জাপার নেতাকর্মীরা। পরে কোচারী বাজার জিরো পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তারা।
জাপার রংপুর মহানগর সদস্য সচিব এস এম ইয়াসির আহম্মেদের ওপর হামলার ঘটনার ৩ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ সন্ত্রাসীদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে কোনো মন্ত্রী, এমপি বা অন্য যে কেউ জড়িত থাক না কেন তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। রংপুরের শান্তিপ্রিয় মানুষ কোনো প্রভাবশালী কাউকেই ছাড় দেবে না।
এসময় আগামী বৃহস্পতিবার রংপুর মহানগরীতে সকাল-সন্ধ্যার পূর্ণ দিবস হরতাল পালনের আহ্বান জানানো হয়।
এদিকে আহত অবস্থায় চিকিৎসাধীন জাপা নেতা ইয়াসির আহম্মেদক দেখতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ। এ সময় তিনি আগামী বৃহস্পতিবারের হরতালকে সমর্থন জানিয়ে সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সমাবেশে বক্তব্য দেন- জেলা জাপার আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন মাস্টার, সদস্য সচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ, জাপা নেতা ইব্রাহিম পণ্ডিত, সৈয়দ নুর আহাম্মেদ টুলু, মহানগর জাপার আহ্বায়ক মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাসহ অন্যান্য নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ জানুয়ারি জুমার নামাজ শেষে জাপা নেতা ইয়াসির আহম্মেদ তার বাবার কবর জিয়ারত করতে মহানগরীর মুন্সিপাড়া কবরস্থানে যান। সেখানে কবর জিয়ারত শেষে মোটরসাইকেলে বাসায় ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী তার মাথায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। আহত ইয়াসির বর্তমানে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাপসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।