মামলার বিবরণে জানা গেছে, রংপুর নগরীর মাহিগঞ্জ জেবি সেন রোডে ২০১০ সালের ৪ এপ্রিল আসামি সুফিয়া বেগম তার স্বামী আহসানুল হক বেলালকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে প্রথমে অজ্ঞান করে। পরে সুফিয়া বেগম তার স্বামীকে জবাই করে হত্যা করে। এরপর তার লাশ দ্বিখণ্ডিত করে একটি বস্তায় ভরে অটোরিকশাযোগে স্থানীয় কবরস্থানে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে অটোরিকশাটি জব্দ করে বস্তা খুলে বেলালের দ্বিখণ্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সুফিয়া বেগমকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় আহসানুলের বড় ভাই আবেদুল হক বুলবুল বাদী হয়ে সুফিয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিচার শেষে সোমবার আদালত সুফিয়াকে ফাঁসির আদেশ দেন।
সরকার পক্ষের আইনজীবী (পিপি) আব্দুল মালেক জানান, আসামি সুফিয়া বেগম দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্তি পান। এরপর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন। এ কারণে বিচারক আসামিকে গ্রেফতারের পর রায় কার্যকরের আদেশ দেন।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর