পীরগাছা (রংপুর) প্রতিনিধি
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় কান্দি আর, আই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসায় ৪ শিক্ষক ভুয়া নিবন্ধন দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করায় সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেন কান্দি মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম। জানা যায়,ওই ৪ শিক্ষক তার পরও সম্প্রতিকালে অনুষ্ঠিত ২০১৪ সালে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য পরীক্ষার্থী হিসেবে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার এ ঘটনায় জনমনে চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। প্রাপ্ত তথ্য জানা যায়, পীরগাছা উপজেলার কান্দি আর, আই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ৪ জন সহকারী শিক্ষক যথাক্রমে-বেলাল হোসেন (শরীরচর্চা), রোল, রেজি ও সনদ-২১৬০৫৬২, ০৫৫০০৮৪৮/২০০৫ সহকারী শিক্ষক আশরাফুল আলম (গণিত) রোল, রেজি ও সনদ-২১৬০৫৭৩০৫৫০০৮৬৩/২০০৫ সহকারী শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক প্রামানিক (কৃষি শিক্ষা) রোল, রেজি, ও সনদ-২২৩০৪২৮, ০৫৩০০২৮১/২০০৫ সহকারী শিক্ষক রুনা লায়লা সরকার (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) রোল, রেজি ও সনদ-২২০৩০০১০, ১৭১১০৭০/২০০৭ ও ২০১৪ সালে নিবন্ধন পরীক্ষার রোল-৪০৪৩০৪৪২ বিষয়ে ভূঁয়া নিবন্ধন দাখিল করে চাকরিতে যোগদান করে এবং যথাবিধি বেতন ভাতাদী উত্তোলণ করে আসছেন। বিগত ২০১৪ সালের শুরুতে তাদেরও গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে গেলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি তদন্ত করে তাদের নিবন্ধন ভূঁয়া বলে প্রত্যয়নকালে ঐ ৪ শিক্ষকের বিরুদ্ধে পরিচালনা কমিটি ব্যবস্থা গ্রহণ করেন এবং সাময়িকভাবে তাদেরকে বরখাস্ত করেন। ফলে ঐ ৪ জন শিক্ষক তাদের চাকরি বাঁচাতে সত্যতা স্বীকার করে। গত ১২/০১/২০১৪ তারিখে বিন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। যার ফলে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ফাঁস হয়ে পড়ে। জানা যায়, কান্দি আর, আই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক নুরনবী বিগত সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ থাকায় ওই সময় ৪ শিক্ষকের ভূঁয়া নিবন্ধন তৈরি করে দিয়ে ২০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাদের চাকুরিতে যোগদান করে দেন। সেই সাথে জড়িত ছিলেন সহকারী শিক্ষক আবু রায়হান। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ আলিয়া ফেরদৌস জাহান এর সাথে কথা বললে তিনি সত্য স্বীকার করেন এবং বলেন, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, ঐ মাদ্রাসার সভাপতি, নজরুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি সত্য স্বীকার করেন, ঐ কান্দি আর, আই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এর সাথে ও কথা বললে, সেও সত্য স্বীকার করেন। এ গোপন তথ্য ফাঁস হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। জানা যায়, কান্দি আর, আই ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার ঐ ৪ শিক্ষক ভূঁয়া নিবন্ধন দিয়ে চাকুরীতে যোগদান করার তথ্য প্রমাণিত হওয়ায় ঢাকা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে পীরগাছা থানা বরাবর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মকবুল হোসেনের কাছে চিঠি আসলে তারপর এস,আই আল-আমিন সরেজমিনে তদন্ত করে সত্য স্বীকার করেন। জানা যায়, ঐ মাদ্রাসার ৪ শিক্ষকের ভূঁয়া নিবন্ধন প্রমাণিত হওয়ার পরেও তারা শিক্ষকতা করে যাচ্ছেন।