স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বহুমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তিনি আজ বুধবার সংসদে তাঁর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারি দলের সদস্য মো. নবী নেওয়াজের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রপ্তানিকারকদের উৎসাহিতকরণ তথা রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে রপ্তানির ক্ষেত্রে নগদ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। রপ্তানি কার্যক্রম সহজীকরণ ও যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে নতুন রপ্তানি ২০১৫-২০১৮ প্রণয়ন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ ও সুদৃঢ়করণের লক্ষ্যে রপ্তানিকারদেরকে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ ও একক প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশে টার্গেট মার্কেট নির্ধারণপূর্বক রপ্তানিকারকসহ বাণিজ্যিক মিশন পাঠানো অব্যাহত রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, রপ্তানিকারকদের বিভিন্ন সেমিনার, কর্মশালা প্রভৃতির মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানপূর্বক রপ্তানি বাণিজ্যে দক্ষ করে তোলার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। নতুন নতুন বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধাপ্রাপ্তির লক্ষ্যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে ননট্যারিফ বাঁধা দূরীকরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন দেশের সাথে ‘জয়েন্ট ইকোনোমিক কমিশন’ গঠন ও ‘বাইলেটারেল ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ গঠনের কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডিউটি ড্র ব্যাক পদ্ধতির আওতায় রপ্তানিকৃত পণ্যের উপাদান হিসেবে আমদানিকৃত কাঁচামালের শুল্ক প্রত্যার্পণের ব্যবস্থা সরলীকরণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের এক্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৫শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। এতে কম সুদে নগদ অর্থে প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে কাঁচামাল আমদানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, থিম ভিত্তিক মেলায় অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ইমেজ বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রম বাংলাদেশের ব্রান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুল্কমুক্ত সুবিধা, রুলস অব অরিজিন, রপ্তানি ভর্তুকি/নগদ সহায়তা, সিআইপি ও রপ্তানি ট্রফি, কমার্শিয়াল উইং স্থাপনের কার্যক্রম, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক চুক্তি, বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সফর বিনিময়, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, গার্মেন্টস শিল্প পার্ক, বাংলাদেশ চা বোর্ড এবং তৈরি পোশাক শিল্পে কর্মরত শ্রমিক ও কর্মচারীদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে।