রাজধানীতে এবার কোরবানির পশুর হাট বসবে ২২টি স্থানে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫টি এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ১০টি হাট।
এছাড়া গাবতলীতে ১টি স্থায়ী হাটসহ ৬টি পশুরহাট বসাবে ঢাকা জেলা প্রশাসন। নগর কর্তৃপক্ষের দাবি, জনদুর্ভোগ হয় এমন এলাকায় এবার হাটের অনুমোদন দেয়া হয়নি। হাটগুলোর গণ্ডি নির্দিষ্ট স্থানেই সীমাবদ্ধ রাখতে ইজারাদারদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এছাড়া, সবগুলো স্থানেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত কার্যক্রমের পাশাপাশি ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ জানায়, দক্ষিণে এবার শহরের মধ্যে ৮টি স্থানে ও লালবাগ এবং কামরাঙ্গীরচরে খেলার মাঠসহ বেড়িবাঁধ সংলগ্ন জায়গায় কোরবানির পশুর হাট বসবে।
ঢাকা দক্ষিণে-গোপীবাগ বালুর মাঠ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটের পার্শ্ববর্তী খালি জায়গা, লালবাগ হাজী দেলোয়ার হোসেন খেলার মাঠ, বেড়িবাঁধ ও আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, লালবাগের রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুরের মৈত্রী সংঘের মাঠ, ধূপখোলা ইস্ট এন্ড ক্লাবের মাঠ এবং কামরাঙ্গীরচরে ইসলাম চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় থেকে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরের খোলা জায়গা।
এর বাইরে কোথাও হাট বসানোর অনুমতি দেয়া হবে না বলেও জানান দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা।
ঢাকা উত্তরে ৫টি অস্থায়ী হাটের জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে মূলত: নগরীর উপকণ্ঠে। রাজউকের পূর্বাচল প্রকল্পের ৩০০ফিট রাস্তার কাছে পুলিশ হাউজিং, বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের খালি জায়গা, মিরপুর ৬-এর ইস্টার্ন হাউজিং, রায়েরবাজার পুলিশ লাইনের খালি জমি, এবং উত্তরা ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের মধ্যবর্তী খালি জায়গা।
জালটাকা শনাক্ত করার মেশিনসহ অন্যান্য সহায়ক উপকরণ পর্যাপ্ত পরিমাণে সরবরাহ নিশ্চিত করার কথা জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশেরপত্র/এডি/আর