অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের মুখপাত্র ও দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী। একটি শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে নারীর ভ‚মিকা এবং ইসলামে নারীদের প্রকৃত অবস্থান সম্পর্কে আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী অধ্যাপিকা নার্গীস সুলতানা (শেলী)। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি রজুফা বেগম, রাজশাহী জেলা সিডিসি’র সাধারণ সম্পাদক আয়েশা খাতুন, রাজশাহী চারঘাট থানা মহিলা লীগের সভানেত্রী জমেলা বেগম, রাজশাহী সিটির ২৪নং ওয়ার্ড সিডিসি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সীমা আক্তার, রাজশাহী মহানগড় মহিলা লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক নাইমা হোসেন নিভা, রাজশাহী সিটির সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক কাউন্সিলর আনোয়ারা বেগম, বিশিষ্ট সমাজসেবী পারভীন বেগম প্রমুখ।
মুখ্য আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, নারীকে পুরুষের সহযোগী হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। নারীরা শালীনভাবে নিজ যোগ্যতা অনুযায়ী সমাজের যেকোনো বৈধ কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন, রসুলাল্লাহ নারীদের নিয়ে সালাহ কায়েম করতেন, মিটিং করতেন, এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও নিয়ে যেতেন। কিন্তু আজ একটি শ্রেণি ধর্মের অপব্যাখ্যা দিয়ে নারীকে গৃহবন্দি করে রেখেছে। এখন থেকে নারী সমাজকে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, এগিয়ে আসতে হবে দেশ-জাতি ও মানবতার কল্যাণে।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সমাজে নারীরা যেন ভোগ্যপণ্য। কিন্তু এটা ইসলামের শিক্ষা নয়। ইসলাম নারীদেরকে তার পূর্ণ মার্যাদা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানের মুখ্য আলোচকের বক্তব্য শুনে আমি এতটুকু বুঝতে সক্ষম হয়েছি যে, প্রকৃত ইসলামের আলোকে সমাজে নারীদের পূর্ণ মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করার জন্যই হেযবুত তওহীদের আগমন।
হেযবুত তওহীদ সদস্য সাদিয়া সুলতানার সঞ্চালনায় সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী জেলা হেযবুত তওহীদের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নাইমা খাতুন।
উল্লেখ্য অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে সমাবেশস্থলে হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম উপস্থিত হলে অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ তাকে অভিবাদন জানান। পরে সকলের অনুরোধে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি বলেন, নারীরা তাদের দুই হাতে বেলন দিয়ে রুটি বানাতে পারে আবার প্রয়োজনে ন্যায়, হক, সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রামও করতে পারে। আমাদের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই নারী। তাই এই বিশাল জনশক্তিকে পেছনে রেখে আমরা কোনোভাবেই জাতিগত উন্নতির আশা করতে পারি না। তাই নারীদেরকে আজ আর চার দেয়ালের মাঝে বন্দি থাকলে চলবে না। তাদেরকে দেশ ও জাতির কল্যাণে ভ‚মিকা রাখতে এগিয়ে আসার আহŸান জানান তিনি।