রাজ্যসভায় সচিন, রেখা এবং মিঠুনের উপস্থিতির হার যে অত্যন্ত কম, তা সংসদের নথি থেকেই স্পষ্ট। তার উল্লেখ করেই শাবানা গতরাতে টুইট করেন, ‘মনোনীত সাংসদদের উপস্থিতির হার দেখে অত্যন্ত খারাপ লাগছে। মিঠুনের ১০ শতাংশ, রেখার ৭ শতাংশ, সচিনের ৭ শতাংশ। ওঁরা (সদস্যপদ) আদৌ গ্রহণ করেছিলেন কেন’? ৬০০ জন ‘লাইক’ করেছেন টুইটটি। তা ‘রিটুইট’ করেছেন ৭৫০ জন নেটিজেন। তবে এখনও পর্যন্ত তারকা সাংসদদের কেউই শাবানার টুইট-আক্রমণের উত্তর দেননি।
২০১২ সাল থেকে মনোনীত সাংসদ হিসাবে রাজ্যসভায় আছেন রেখা এবং সচিন। ২০১৪ সালে তৃণমূলের সাংসদ হিসাবে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন মিঠুন। কিন্তু সংসদের অধিবেশনে হাজিরার ক্ষেত্রে তাঁরা সবসময়েই অন্য সাংসদদের চেয়ে অনেক পিছিয়ে রয়েছেন। তা নিয়ে এর আগেও বহুবার বিতর্ক হয়েছে। সচিন বা রেখা কদাচিৎ রাজ্যসভায় এলেও পশ্চিমবঙ্গে ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থা কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়ানোর পর থেকেই রাজ্যসভায় গরহাজির থাকতে শুরু করেন তৃণমূলের মিঠুন। তবে অসুস্থতার কথা জানিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে সম্প্রতি ছুটিও চেয়েছেন তিনি।
১৯৯৭ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার মনোনীত সাংসদ ছিলেন শাবানা। আর ২০১০ সাল থেকে গত মার্চ মাস পর্যন্ত রাজ্যসভায় ছিলেন তাঁর স্বামী তথা কবি-চিত্রনাট্যকার জাভেদ আখতার। ২০১২ সালে জাভেদের বিরুদ্ধেও সংসদে কম উপস্থিতির অভিযোগ উঠেছিল। সেই সময় অবশ্য স্বামীর হয়ে সাফাই দিয়েছিলেন শাবানা! তাই হঠাৎ কেন তারকা-সাংসদদের বিরুদ্ধে তিনি সরব হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।