সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ভেটি-মাধাইমুড়ি রাস্তা দিয়ে ছাতারদিঘী, অলংকারদিঘী, গুচিয়াগাড়ী, বেলঘড়িয়া, মাধাইমুড়ি, আগনাগাড়ী, দামকুড়ি ও আদগোলা গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক লোক চলাফেরা করে। এখানকার ভ্যান, অটোরিক্্রা, মোটরসাইকেল, ভটভটি ও অন্যান্য যানবাহন গুলো বালির বস্তা দিয়ে জীবনের ঝুকি নিয়ে কালভার্টটি পার হচ্ছে। ভাড়ি কোন যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এছাড়া এই গ্রাম গুলোর অধিকাংশ লোকই কৃষিজীবি। ভাঙ্গা কালভার্টের কারনে তাদের উৎপাদিত ফসল নায্যমূল্যে বিক্রয় করতে পারছে না। ফলে ফসল উৎপাদন করে ভাঙ্গা কালভার্টের কারনে লোকসান গুনতে হচ্ছে প্রায় বছর খানেক ধরে। এসব গ্রামবাসির দাবি দ্রæত ভাঙ্গা কালভার্টটি নতুন করে তৈরী করা হউক এবং ভেটি থেকে গুচিয়াগাড়ী পর্যন্ত কাঁচা রাস্তাটি পাকা করা হউক।
অলংকার দিঘী গ্রামের সোলায়মান, মোফাজ্জল হোসেন খোকা, সেকেন্দার আলী জানান, এই এলাকার সবচেয়ে বড় বাজার আবাদপুকুর হাট। এই হাটেই আমাদের ধান, চাল, আলু, গমসহ যাবতীয় কৃষিপন্য বিক্রয় করতে হয়। কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে আমরা প্রায় এক বছর যাবত ধান-চালে নায্যমূল্য পাচ্ছি না। গত বর্ষা মৌসুমী ইরির ধান প্রতি মনে ৫০-৭০টাকা কম দামে বিক্রয় করতে হয়েছে। কোন গাড়ি আমাদের গ্রামে আসে না।
গুচিয়াগাড়ী গ্রামের নূর মোহাম্মদ, শরিফুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম রতন জানান, গুচিয়াগাড়ী থেকে ভেটির দুরত্ব প্রায় দেড় কিলোমিটার। এই রাস্তাটা কাঁচা রয়েছে। তার উপর ভেটির কাছে কালভার্টটি ভেঙ্গে যাওয়ায় আমরা পড়েছি মহা বিপদে। এই রাস্তা দিয়ে এলাকার প্রায় ৭/৮টি গ্রামের লোকজন চলাফেরা করে। খুব দ্রæত কালভার্টটি তৈরী ও কাঁচা রাস্তা পাকা করার দাবি জানান ।
এ ব্যাপারে কালিগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: সিরাজুল ইসলাম বাবলু জানান, জনদূর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করেই ভেটি-মাধাইমুড়ি রাস্তার ভাঙ্গা কালভার্টটি নতুন করে তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুতই নতুন কালভার্টের কাজ শুরু হবে। কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের ব্যাপারে তিনি জানান, পরবর্তী বরাদ্দ পেলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এই রাস্তা পাকাকরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।