ন্যাটোর মিত্র কোনো দেশ রাশিয়ার হামলার শিকার হলে যাতে ন্যাটো বাহিনী দ্রুত সেখানে মোতায়েন করা যায়, সে লক্ষ্যে শুক্রবার যুক্তরাজ্যের ওয়েলসে ন্যাটোর ২৬তম সম্মেলনে এ সংক্রান্ত ঐক্যমতে পৌঁছান জোটভুক্ত নেতারা।
ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্ডার্স ফগ রাজমুজেন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ন্যাটো বাহিনীর নতুন ইউনিট এগিয়ে যাওয়ার বিষয়ে পরিস্কার বার্তা পেয়েছে।
আপনার মনে রাখা উচিত, জোটের একজনকে আক্রমণ করা মানে জোটের সব সদস্যকে আক্রমণ করা।
আইএস জঙ্গি বাহিনী একটি আন্তর্জাতিক সমস্যা উল্লেখ করে রাজমুজেন বলেন, ন্যাটো ইরাকে সহিংস জঙ্গি তৎপরতা বন্ধে প্রস্তুত। তবে মনে রাখত হবে, ইরাক সরকার এ ধরনের কোনো অনুরোধ করেনি। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও যুক্তরাজ্যের ডেভিড ক্যামেরন ন্যাটো বাহিনীর অন্য সদস্য দেশকে আইএস বিরোধী জোট গঠনে চাপ দিচ্ছে।
এদিকে, আইএস এজেন্ডা ইউক্রেন ইস্যুর কারণে চাপা পড়ে গেছে। তবে তারা এই ইস্যু নিয়েও আলোচনা করতে চান ন্যাটোর শীর্ষ নেতারা। দুদিনের সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট পেট্রো পোরোশেঙ্কো উপস্থিত থাকবেন। এতে করে ইউক্রেন ইস্যুই বেশি গুরুত্ব পাবে।