এদের মধ্যে জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হোসেন লোটাস, সহ-সভাপতি কেএম বাপ্পি কবির (পালসার বাপ্পি) ও যুবলীগ নেতা এহতেশাম হায়দর বাপ্পিকে ৫ বছর করে এবং ছাত্রলীগ নেতা মো. জুয়েল, সজিব, মিরাজকে ১ বছর করে ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা মানিক, রকি, রুপমকে ১ মাসের করে কারাদন্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে। এ রায়ে ২জনকে খালাস দেয়া হয়েছে। পরে তাৎক্ষনিক আপিল করলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা রকি ও রুপমের জামিন মঞ্জুর করে আদালত।
বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে লক্ষীপুর চিফ জুডিশিয়াল আদালতের বিচারক মোহাম্মদ হালিম উল্লাহ চৌধুরী এ রায়দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি (পিপি) জসিম উদ্দিন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এদিকে, আসামীপক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট রাসেল মাহমুদ মান্না বলেন এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হতে পারিনি। উচ্চ আদালতে আপিল করব।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৮ টার দিকে লক্ষীপুর শহরের আলিয়া মাদ্রাসা এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আশরাফুল আলমকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে মারাত্বক যখম করে। এঘটনায় পরদিন ৬ সেপ্টেম্বর আহতের বাবা অ্যাডভোকেট মো. বদরুল আলম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা শহরের ফায়ার সার্ভিস এলাকা, ঝুমুর সিনেমা হল, মাদাম জিরো পয়েন্ট ও বাগবাড়ি এলাকায় ঘন্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে রাখে। এসময় নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করে বক্তব্য রাখেন জামিনে মুক্ত জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি চৌধুরী মাহমুদুন্নবী সোহেল। যেকোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।