লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ‘হাইব্রিড’ আ. লীগ নেতার অনুষ্ঠানে আসেননি অতিথিরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর: অনুষ্ঠানে অতিথি থাকবেন বলে মাইকে প্রচার করা হয় একাধিক নেতা ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের নাম। সভামঞ্চ তৈরীর কথা ছিল স্কুল মাঠে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বর্জনের মুখে স্থান পরিবর্তন করে আয়োজন করা হয় স্কুলের ক্লাসরুমে। তবুও অনুষ্ঠানে আসেননি মাইকে প্রচার করা অতিথিরা। রোববার বিকেলে এমনই ঘটনা ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে প্রতাপগঞ্জ হাই স্কুলে ‘বাংলাদেশ গো ফরোয়ার্ড’ নামে একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের অনুষ্ঠানে।
অভিযোগ উঠেছে, ওই সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা ও ‘এগিয়ে যাবে বিডি.কম’ নামে অন লাইন পত্রিকার প্রকাশক-সম্পাদক এবং ২৩ পত্রিকার সাংবাদিক দাবি করা ইসমাইল মাহমুদ প্রকাশ ধোপা ইসমাইল স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের বিকেল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত ক্লাসরুমে আটকে রেখে ওই অনুষ্ঠানে ৬পৃষ্ঠার একটি বই বিতরন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, জাসদ নেতা বর্তমানে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে ইসমাইল মাহমুদ রোববার বিকেলে প্রতাপগঞ্জ হাই স্কুল মাঠে ‘বাংলাদেশ গো ফরোয়ার্ড’ নামের একটি ভূঁইফোড় সংগঠনের ব্যানারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে লক্ষ্মীপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি উপস্থিত থাকবেন বলে মাইকে ব্যপক প্রচারণা চালানো হয়। রোববার ওই অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এম আলাউদ্দিন ছাড়া অতিথিদের আর কাউকে দেখা যায়নি। এনিয়ে স্থানীয়দের মাঝে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়।
কয়েক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানায়, সকাল ১০ থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ক্লাস শেষে শারীরিকভাবে ক্লান্ত শিক্ষার্থীদেরকে ওই অনুষ্ঠানে বাধ্যতামূলক আটক রাখে আয়োজকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, এক সময়ে জাসদ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ইসমাইল মাহমুদ ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারীর জাতীয় নির্বাচনের পর “বাংলাদেশ গো ফরোয়ার্ড” নামে ভূঁইফোঁড় সংগঠনের নাম প্রকাশ করেন। পরিচয় দেন তিনি এ সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক। তবে তিনি ছাড়া এ সংগঠনের আর কেউ কোন দায়িত্বে আছে কীনা তা জানা যায়নি। এরপর থেকে এই ভূঁইফোঁড় সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে ঢাকায় এবং নিজ এলাকায় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে চাঁদা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

Comments (0)
Add Comment