ঘণ্টায় ২৩০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে গত মঙ্গলবার থেকে কিউবা ও হাইতি অতিক্রম করতে শুরু করে এই ঘূর্ণিঝড়। প্রচণ্ড বৃষ্টিপাতে গমনপথে শহরগুলো ভাসিয়ে দিয়ে যায়। কেবল হাইতির দক্ষিণাঞ্চলের রোশ-আ-বাতেও শহরেই মৃত্যু হয় অন্তত ৫০ জনের।
শুক্রবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে বলে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
বিবিসি জানায়, এই উপদ্বীপের প্রধান শহর জেরেমির ৮০ শতাংশ ঘরবাড়ি মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দিয়ে গেছে ম্যাথিউ। সুদ প্রদেশে নিশ্চিহ্ন হয়েছে ৩০ হাজার ঘর। সেইসঙ্গে গবাদিপশু আর ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বলা হচ্ছে, আটলান্টিকের ক্যারিবীয় উপকূলে গত এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় এটি। হাইতির পর বাহামায় তাণ্ডব চালিয়ে শক্তি খানিকটা কমলেও বৃহস্পতিবার আবার সেটি শক্তি সঞ্চয় করেছে। ঘণ্টায় প্রায় ২০৫ কিলোমিটার গতির বাতাস নিয়ে পরিণত হয়েছে চতুর্থ ক্যাটাগরির হারিকেনে।
ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে বাহামাতেও বিদ্যুৎ সরবরাহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে, উপড়ে গেছে বহু গাছ। হাইতিতে অধিকাংশ প্রাণহানী ঘটেছে উপকূলীয় শহর আর জেলে পল্লীগুলোতে। গাছ বা ঘর ভেঙে পড়ে, উড়ন্ত জিনিসপত্রের আঘাতে বা জলোচ্ছ্বাসে ভেসে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে অনেকের। ডোমিনিকান রিপাবলিকেও মৃত্যু হয়েছে অন্তত চারজনের।
হাইতির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপকূলীয় শহর জেরেমির ছবিতে ঝড়ে ধ্বংস হয়ে যাওয়া বাড়িঘর দেখা গেছে। চিকিৎসাকেন্দ্র এবং খাবারের গুদাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ম্যাথিউয়ের তাণ্ডবে উপকূলীয় এলাকার সড়কগুলোতে নৌকাসহ ধ্বংস হওয়া বিভিন্ন জিনিসের স্তূপ জমে গেছে। সাগর থেকে উঠে আসা পানিতে আবাসিক এলাকাগুলো ডুবে গেছে। স্থগিত করা হয়েছে রোববার অনুষ্ঠেয় হাইতির বহু প্রতীক্ষিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। জাতিসংঘ বলছে, বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র এই দেশে এখন সাড়ে তিন লাখ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।