স্পোর্টস ডেস্ক:
বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া ও ভারত মুখোমুখি হবে। অনেকেই ম্যাচটিকে বিশ্বকাপের ফাইনালের সঙ্গে তুলনা করছেন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ভারতের বিপক্ষে আধিপত্য বিস্তার করে আসছে মাইকেল ক্লার্কের দল। দুটি টেস্টে ধোনির দলকে হারানোর পর অপর দুটি ড্র করে অজিরা। এরপর ত্রি-দেশীয় সিরিজ ও প্রস্তুতি ম্যাচে ভারতকে বড় ব্যবধানে হারায় চারবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। বিশ্বকাপে দুই দলের ১০ বারের সাক্ষাতে অস্ট্রেলিয়া ৭ ম্যাচে জয় পায়। ভারতের জয় তিনটিতে। তবে দুই দলের সর্বশেষ ১০ সাক্ষাতে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা লক্ষ্য করা যায়। নিুে তারই চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো।
১. জানুয়ারি ১, ২০১৫ (সিডনি): ম্যাচ পরিত্যক্ত।
বৃষ্টির কারণে ৪৪ ওভারে নেমে আসা ম্যাচ পুনরায় বৃষ্টির আঘাতে পণ্ড হয়ে যায়। ১৬ ওভারে এই সময় ২ উইকেটে ৬৯ রান করতে সমর্থ হয় ভারত।
২. জানুয়ারি ১৮, ২০১৫ (মেলবোর্ন): অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী।
ত্রিদেশীয় সিরিজে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এক ম্যাচ উপভোগ করে মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড। রোহিত শর্মার অনবদ্য ১৩৮ রানের ইনিংসের সুবাদে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৬৭ রান সংগ্রহ করে ধোনির ভারত। অ্যারন ফিঞ্চের ৯৬ রানের ইনিংসের কাছে হার মানতে হয় ভারতকে। এক ওভার বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
৩. নভেম্বর ২, ২০১৩ (ব্যাঙ্গালোর): ভারত ৫৭ রানে জয়ী।
রোহিত শর্মার অতিমানবীয় ২০৯ রানের নান্দনিক ইনিংসের সুবাদে ৩৮৩ রানের পাহাড় গড়ে ভারত। জেমস ফকনার সেঞ্চুরিতে ৩২৬ রান তুলে ৫৭ রানে ম্যাচ হারে অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ের মাধ্যমে ৭ ম্যাচ সিরিজ ৩-২ ব্যবধানে জিতে নেয় ধোনি-বাহিনী।
৪. অক্টোবর ৩০, ২০১৩ (নাগপুর): ভারত ৬ উইকেটে জয়ী।
নাগপুরে রোমাঞ্চকর ও দুর্দান্ত এক ম্যাচ উপহার দেয় ভারত ও অস্ট্রেলিয়া। জর্জ বেইলি (১৫৬) ও শেন ওয়াটসনের (১০২) জোড়া সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়া ৩৫০ রান তোলার পর সবাই ধরেই নিয়েছিল ম্যাচটি জিততে যাচ্ছে অজিরা। তবে সবাইকে ভুল প্রমাণ করে দিলেন বিরাট কোহলি ও শেখর ধাওয়ান। ১০২ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন শেখর ধাওয়ান। সেই ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে ৬৬ বলে ১১৫ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন বিরাট কোহলি।
৫. অক্টোবর ২৬, ২০১৩ (কটক) : ম্যাচ পরিত্যক্ত।
অবিরাম বৃষ্টির কারণে ম্যাচ তো দূরের কথা, টসও করতে পারেন নি দুই অধিনায়ক। ফলে হতাশ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয় কটকের দর্শকদের।
৬. অক্টোবর ২৩, ২০১৩ (রাঁচি): ম্যাচ পরিত্যক্ত।
কটকের ম্যাচটির তিনদিন আগে ধোনির শহর রাঁচিতে বৃষ্টি আঘাত হানে। জর্জ বেইলির ৯৮ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের ৯২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া আগে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেটে ২৯৫ রান সংগ্রহ করে। ৪.১ ওভারে ভারত বিনা উইকেটে ২৭ রা তোলার পর প্রবল বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করতে বাধ্য হন আম্পায়াররা।
৭: অক্টোবর ১৯, ২০১৩ (মোহালি): অস্ট্রেলিয়া ৪ উইকেটে জয়ী।
রোমাঞ্চকর ও উপভোগ্য ম্যাচ বলতে যা বোঝায় সেটি উপহার দিল মোহালির মাঠ। অধিনায়ক ধোনির হার না মানা ১৩৯ রানের ইনিংসের কল্যাণে ৩০৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়েও শেষ রক্ষা হয়নি ভারতের। জেমস ফকনারের ২৯ বলে ৬৪ রানের ‘টর্নেডো’ ইনিংসের ওপর ভর করে ৩ বল থাকতে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
৮. অক্টোবর ১৬, ২০১৩ (জয়পুর): ভারত ৯ উইকেটে জয়ী।
জয়পুরে রান-বন্যার ম্যাচে অস্ট্রেলীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করল ভারতের তিন সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি, শেখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ৩৫৯ রান তোলে অস্ট্রেলিয়া। অসিদের ইনিংসের কোনো সেঞ্চুরি না থাকলেও ৫টি ফিফটি ছিল। জবাবে রোহিত শর্মার ১৪১ ও বিরাট কোহলির ১০০ রানের হার না মানা ইনিংসের ওপর ভর করে ৩৯ বল হাতে থাকতেই কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ধোনির দল। রোহিত করেন ৯৫ রান।
৯. অক্টোবর ১৩, ২০১৩ (পুনে): পুনেতে অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের সঙ্গে আর পেরে উঠল না ভারতীয় দল। বেইলির ৮৫ ও ফিঞ্চের ৭২ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। অজি বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ২ বল বাকি থাকতেই ২৩২ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
১০: ফেব্র“য়ারি ২৬, ২০১২ (সিডনি): অস্ট্রেলিয়া ৮৭ রানে জয়ী।
ওয়ার্নার, ডেভিড হাসি ও ম্যাথু ওয়েডের ফিফটিতে ৯ উইকেটে ২৫২ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। মাঝারি মানে সেই স্কোর তাড়া করতে নেমে ৬৩ বল বাকি থাকতেই ১৬৫ রানে গুটিয়ে গিয়ে ৮৭ রানে পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ধোনিরা।