বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমানের স¤পৃক্ততা ধামাচাপা দিতেই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ‘আবোল-তাবোল’ বকছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ও এর প্রধান ইনুকে জড়িয়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্যের জবাবে মন্ত্রীর এই প্রতিক্রিয়া। গতকাল সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ইনু বলেন, “হঠাৎ করে মা-ছেলে কেন জাসদ ও আমাকে নিয়ে আবোল-তাবোল বলছেন? কেন অস্থিরতা প্রকাশ করছেন? বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়াউর রহমান যে জড়িত ছিলেন সে বিষয়ে কোনো সদুত্তর দিতে না পেরে এবং
ওই ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই তারা আবোল-তাবোল বলছেন।” বঙ্গবন্ধু হত্যায় ‘জিয়ার জড়িত থাকা’ এবং তার ‘দুষ্কর্ম’আড়াল করতেই বিএনপি জনগণকে ‘বিভ্রান্ত করছে’ বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সোমবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, “ইনুরা বলেছিল- শেখ মুজিবের লাশ কবর না দিয়ে বঙ্গোপসাগরে ফেলে দিতে। আজ এই মতিয়া-ইনু আওয়ামী লীগের দোস্ত হয়েছে। কাফফারা দিয়ে মন্ত্রী হয়েছেন, নিজেদের মন্ত্রিত্ব ঠিক রাখতে আওয়ামী লীগের জন্য দরদে ফেটে পড়ছেন।” এর জবাবে ইনু বলেন, “আমরা হালুয়া-রুটির ভাগবাটোয়ার জন্য মহাজোটে অংশগ্রহণ করিনি। রাজনৈতিক কারণেই আমরা বিরোধিতা করি, রাজনৈতিক কারণেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোট করি।”খালেদাকে ইতিহাস মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়ে জাসদ সভাপতি বলেন, “আপনার স্বামী খুনী ছিলেন, তিনি খুনীদের সমর্থনও করেন।” বঙ্গবন্ধু সরকারের সময় জাসদের অবস্থান কী ছিল- তা সবাই জানেন মন্তব্য করে ইনু বলেন, “আমরা কখনো ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে লিপ্ত ছিলাম না।” বঙ্গবন্ধুকে খালেদা জিয়ার ‘শেখ সাহেব’ সম্বোধনেরও সমালোচনা করেন তথ্যমন্ত্রী। তাকে জাতির জনক সম্বোধন করবেন। তা না করলে শেখ মুজিবুর রহমান বলবেন। তিনি আপনার পিতার বয়সী, তাকে নিয়ে বালখিল্যতা করবেন না। এর আগে গত রোববার লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে তারেক দাবি করেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করার পর বঙ্গভবনে খন্দকার মোশতাক আহমেদের শপথ অনুষ্ঠানে কর্নেল তাহের, জাসদের এখনকার সভাপতি হাসানুল হক ইনু এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননও উপস্থিত ছিলেন। এর জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “ওই সময় ইনু আÍগোপনে ছিল। মোশতাকের সঙ্গে কোনো স¤পর্ক ছিল না, সেখানে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না।”