গাবতলি উপজেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি সালজার রহমান সাবুর সভাপতিত্বে ৫ দফা দাবিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের বগুড়া জেলা শাখার সভাপতি খাজা আহম্মেদ রতন।
তিনি বলেন, গত বছর ১৪ই মার্চ হেযবুত তওহীদের নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে মসজিদ নির্মাণকে কেন্দ্র করে জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতামুলক কার্যক্রমকে বন্ধ করার হীন উদ্দেশ্যে এক শ্রেণির স্বার্থন্বেষী মহল ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে হেযবুত তওহীদের ২সদস্যের হাত পায়ের রগ কেটে হত্যা, শতাধিক সদস্যকে আহত করে, বাড়ি-ঘর ভাংচুর, জালাও-পোড়াও ও লুটপাট চালায়।
এঘটনায় মোট ৮৩ জন আসামির মধ্য থেকে অল্প কয়েকজনকে আজ পর্যন্ত আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নুরুল আলম মুন্সী, জহিরসহ বহু চিহ্নিত আসামিকে গ্রেফতারই করা হয় নি। তবে ইতোমধ্যে পুলিশ যাদেরকে গ্রেফতার করেছে এবং যারা স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে তারা যে কোনো উপায়েই হোক সহজেই জামিন পেয়ে যাচ্ছে এবং এলাকায় দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
উক্ত ঘটনায় ভস্মীভূত ঘরসমূহ পুনর্নিমাণ ও ক্ষতিগ্রস্ত হেযবুত তওহীদ সদস্যদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থার দাবিও জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রিয় সাংগাঠনিক সম্পাদক আশেক মাহমুদ, জোবায়ের আহম্মেদ নূহু, বগুড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও এসএ টিভির বগুড়া প্রতিনিধি আরিফ রেহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক জনকন্ঠের বগুড়া প্রতিনিধি মাহমুদুল আলম নয়ন, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জিটিভি বগুড়া প্রতিনিধি আমজাত হোসেন মিন্টু, দৈনিক ইনক্লাবের ব্যুরো প্রধান মহসিন আলি রাজু, দৈনিক নয়াদিগন্ত বগুড়া প্রতিনিধি মিলন, বগুড়া প্রেসক্লাবের কোষাধক্ষ্য কমল হোসেন, বৈশাখি টিভির বগুড়া প্রতিনিধি কমলেড মহন্ত শানু, বাংলাভিশন ক্যমরাম্যান মতিউর রহমান, জিটিভির ক্যমরাম্যান রাজু আাহম্মেদ, প্রেসক্লাবের সদস্য তানসেন আলম, ছানাউল হক শুভ, মির্জা দুলাল, বগুড়া জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল্ ইসলাম, দৈনিক বজ্রশক্তির বগুড়া ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি আশরাফুল আলম, জেটিভি অনলাইন আদমদীঘি প্রতিনিধি সাইফুল ইসলাম শাহিন, ধনুট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামন মুনির, দৈনিক বজ্রশক্তির কাহালু প্রতিনিধি ইমরান হোসেন, ভ্রামমান প্রতিনিধি রাকিবুল ইসলাম, বাংলাদেশেরপত্র অনলাইনের সদর প্রতিনিধি হারুন আল রশিদসহ বগুড়ার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া কর্মীবৃন্দ।