স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশের ভাবমুর্তি নষ্ট করতে মানুষ হত্যা করছে: ডেপুটি স্পিকার

ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা বিরোধী সচেতনতামূলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য  রাখছেন ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি।

গাইবান্ধা প্রতিনিধি: বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার এডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া এমপি বলেছেন, আজ দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, মানবতাবিরোধী অপরাধের ফাঁসি দেওয়া হচ্ছে, জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করার জন্য প্রবল জনমত সৃষ্টি হচ্ছে এবং মাথাপিছু বার্ষিক আয় বাড়ছে, রপ্তানি আয় বাড়ছে, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে, মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে তখন স্বাধীনতা বিরোধী চক্র জঙ্গি ও সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমুর্তি বিনষ্ট করার লক্ষে মানুষ হত্যার পথ বেঁছে নিয়েছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধীরা ইসলামের শ্লোগান দিয়ে মানুষ হত্যাসহ মা-বোনদের ইজ্জত নিয়েছে। এ অপশক্তির বিরুদ্ধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় জঙ্গিবিরোধী কমিটি গঠন করে এদের চিরতরে নির্মুল করার সময় হয়ে এসেছে।
তিনি আজ শুক্রবার বিকেল ৫ টায় গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও নাশকতা বিরোধী সচেতনতামূলক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী পাকিস্তানের দোষররাই আবার বেহেস্তের প্রলোভন দেখিয়ে এদেশের তরুন-যুবসমাজের একটি বিপথগামী অংশকে মানুষ হত্যার মত ঘৃণীত কাজে প্রলুব্ধ করছে। শান্তির ধর্ম ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে তাদের মগজ ধোলাই করছে। তাদের দিয়ে মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, গির্জার পাদ্রি, বিদেশী অতিথি প্রগতিশীল লেখক, প্রকাশক, বুদ্ধিজীবীসহ মুক্তমনা মানুষদের নির্মমভাবে হত্যা করানো হচ্ছে। তিনি বলেন, শুধু ইসলাম কেন ? পৃথিবীর কোন ধর্মই মানুষ হত্যাকে অনুমোদন করেনা। মানুষের কল্যাণের জন্য, মানুষের মঙ্গলের জন্য এবং মানুষের ইহকাল ও পরকালের মুক্তির জন্যই পৃথিবীতে ধর্মের উদ্ভব হয়েছে। ধর্মের দোহাই দিয়ে মানুষ হত্যা করার জন্য নয়।
ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মাসুদুর রহমান মোল্লা’র সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, গাইবান্ধা পুলিশ সুপার আশরাফুল ইসলাম বিপিএম, ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।
সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ফুলছড়ি উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান রাশেদা বেগম, ফুলছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খায়রুল বাশার, উপজেলা কমিউনিটি পুলিশিং কমিটির সভাপতি শামসুজ্জোহা বাবলু, সাধারন সম্পাদক মকবুল হোসেন, ফুলছড়ি উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, সাঘাটা উপজেলা সন্ত্রাস প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির, উদাখালী ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন, ফুলছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর মন্ডল, উড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান বদিয়াজ্জামান সরকার, গজারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শামছুল আলম, কঞ্চিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম সরকার, উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ এটিএম রাশেদুজ্জামান রোকন, উদাখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
এছাড়াও সমাবেশে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত, কৃষক, ক্ষেতমজুর, মুক্তিযোদ্ধা, চিকিৎসক, আইনজীবি, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Comments (0)
Add Comment