স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দিতে সাবেক অতিরিক্ত বিচারপতি এবিএম আলতাফ হোসেনের করা রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্টের অবকাশকালীন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন এম আই ফারুকী ও রোকনউদ্দিন মাহমুদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুরাদ রেজা। এছাড়াও স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে আলতাফ হোসেনকে নিয়োগ দিতে আইনজীবী ইদ্রিসুর রহমানের রিটটিও খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। খারিজের পর সরাসরি আপিলের সনদ দিতে করা আবেদনও খারিজ করে দেন অবকাশকালীন বেঞ্চ। ২০১২ সালের ১৪ জুন এবিএম আলতাফ হোসেনসহ মোট ছয় জনকে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দুই বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার পর আলতাফকে বাদ দিয়ে অন্য পাঁচ জনকে গত ৯ জুন স্থায়ী করা হয়। এরপর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পেতে হাইকোর্টের নির্দেশনা চেয়ে গত ১২ আগস্ট রিট আবেদন করেন এবিএম আলতাফ হোসেন। রিটে আইন সচিবসহ সাতজনকে বিবাদী করা হয়। এদিকে, এবিএম আলতাফ হোসেনকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগদানের নির্দেশনা চেয়ে গত ২৩ জুলাই পৃথক একটি রিট দায়ের করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান। গত ৬ জুলাই ইদ্রিসুর রহমান একই উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, আইন সচিব এবং সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রারকে একটি আইনি নোটিস পাঠান। ওই নোটিস অনুসারে ব্যবস্থা না নেওয়ায় তিনি হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেন। ওই রিটে বলা হয়, আকর্ষণীয় শিক্ষা জীবনের পাশাপাশি পেশাগত জীবনে আইনজীবী ও বিচারপতি হিসেবে দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন এবিএম আলতাফ হোসেন। দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি হিসেবে তাদের দেওয়া অনেক রায় জার্নাল ডিএলআর ও বিএলসিতেও স্থান পেয়েছে উল্লেখ করে এতে বলা হয়, অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে দুই বছর মেয়াদ শেষের আগে প্রধান বিচারপতি অন্য বিচারপতিদের মতো তারও ১০টি রায় পর্যালোচনা করেছিলেন। সবার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে তাদের নিয়োগ দিতে প্রধান বিচারপতি সুপারিশ করলেও কোনো কারণ উল্লেখ না করেই রাষ্ট্রপতি তাকে বাদ দিয়ে বাকি পাঁচজনকে নিয়োগ দেন বলে রিটে উল্লেখ করা হয়।
এর আগে ১৯৯৬-০১ মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে
নিয়োগ পাওয়াদের চারদলীয় জোট সরকার স্থায়ী নিয়োগ দেয়নি। ইদ্রিসুর রহমান আদালতে মামলা দায়ের করলে রায়ে ১১ বিচারপতি হাইকোর্টে স্থায়ী হিসেবে নিয়োগ পান। তবে তারা জ্যেষ্ঠতা পাননি।