ফেসবুকে অনেকেই লিখেছেন, প্রথম জন তাহমিদ রহমান সাফি। তাহমিদ ক্লোজ আপ ওয়ান এর প্রথম আসরের একজন প্রথম সারির প্রতিযোগী ছিলেন। এছাড়া গ্রামীণফোনেও কাজ করতেন তিনি।
আর মুখভর্তি দাঁড়িসহ যাকে দেখা যাচ্ছে, তার নাম তৌসিফ হাসান। তিনি ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন এবং ঢাকা বিশ্বসিব্যালয়ের আইবিএ’র ছাত্র। তৌসিফ ২০১৪ সাল থেকে নিখোঁজ রয়েছেন বলেও ফেসবুকে অনেকে জানিয়েছেন। নিরাপত্তার কথা ভেবে কোনো ফেসবুক ব্যবহারকারীর নাম এখানে প্রকাশ করা হলো না।
যদিও প্রথমজনের পরিচয় নিয়ে দৈনিক ইত্তেফাক তাদের একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, ‘ভিডিও ফুটেজে বাংলাদেশি পরিচয়দানকারী যে তিনজন যুবককে দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় মিলেছে। তিনি হলেন, তাহমিদুর রহমান। তার বাবা সাবেক নির্বাচন কমিশনার সফিউর রহমান। তিনি ২০০১-২০০৬ সালে নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালে তিনি মারা গেছেন। তাহমিদুর রহমান কবে বাড়ি থেকে পালিয়েছে এ বিষয়ে এখনো কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।’ আর একটি সূত্রে বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, প্রায় একবছর আগেই সপরিবারে সিরিয়া চলে গেছেন তাহমিদ।
গত ১ জুলাই শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানের ৭৯ নম্বরের আর্টিজান বেকারিতে ৮ থেকে ১০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। এরপর ওই রেস্তোরাঁয় থাকা ২০ জন বিদেশি নাগরিকসহ ৩০-৩৫ জন লোকজনকে জিম্মি করে রাখে। এ সময় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গোলাগুলি হয়।
গোলাগুলিতে ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হয়েছেন। আহত হন প্রায় ৩০ জন পুলিশ সদস্য।
শনিবার সকালে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী অভিযান চালায়। চালিয়ে জিম্মি হওয়া ১৩ জনকে জীবিত উদ্ধার করে এবং ২০ জন বিদেশি নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাঈম আশফাক। এ ঘটনায় বাংলাদশে দুই দিনের শোক পালন করে বাংলাদেশ।
এছাড়াও ভিডিওবার্তায় হুমকিদাতা অপরজনের মুখ কাপড় দিয়ে মোড়ানো থাকায় সেটি কে তার পরিচয় দিতে পারছে না কেউ।