চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) আয়তন আরো প্রায় ৩৫০ একর বৃদ্ধি পেয়েছে সীমানা প্রাচীর নিমার্ণনের ফলে। এতে বর্তমানে চবির আয়তনের পরিমাণ প্রায় ২১০০ একর হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়েরর ড. এ. আর. মল্লিক ভবনে অনুষ্ঠিত ৩০ তম সিনেট অধিবেশনে এ তথ্য জানান তিনি।
এ বিষয়ে চবি উপাচার্য বলেন, বর্তমান চবি কর্তৃপক্ষে সবচেয়ে বড় অবদান হলো বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃহৎ সীমানা নির্ধারণ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ। দীর্ঘ ১৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নির্মাণ করা হয়েছে এ সীমানা প্রাচীর। নতুন ভাবে এ সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করার সময় অবৈধভাবে দখলকৃত চবির প্রায় ৩৫০ একর জমি ফিরে পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর কোন প্রশাসন এমন বৃহৎ উদ্যোগ নিতে পারেনি। কিন্ত বর্তমান প্রশাসন নানা প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সীমান প্রাচীরের কাজ হাতে নিয়েছিল। সীমানা প্রচীর নিমার্ণকালে দখলদারদের মামলার মুখোমুখি হতে হয় আমাকে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও সীমানা প্রাচীর নির্মাণে আমাকে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট অন্যরা সহযোগিতা করেন। যার ফলাফল হিসেবে এত বড় একটা সফলতা এসেছে।
উল্লেখ্য, পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তন ছিল ১৭৫৩ একর। পরে ২০১৬ সালের এপ্রিলে প্রায় ৯ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে সীমানা প্রাচীর নিমার্ণ কাজের উদ্বোধন করেন চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে সিনেট অধিবেশনে চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশ্ববিদ্যালয়েরর ২০১৮-১৯ সালের অর্থ বছরের জন্য ৩২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট ঘোষণা করেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কে এম নুর আহমদ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সিনেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান, চবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীন আখতার, সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শামসুদ্দিন, প্রফেসর ড. সুলতান আহমেদ, প্রফেসর মনসুর উদ্দিন আহমদ, প্রফেসর এ বি এম আবু নোমান, মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী, প্রফেসর সিরাজ উদ দৌল্লাহ সহ সিনেট সদস্যরা।