রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এ অবস্থা দু:খজনক – চেয়ারম্যান, দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড

তপন কুমার রায়, বেরোবি প্রতিনিধি:

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অবস্থা খুবই দু:খ জনক। বিশেষ করে আজকে আমরণ অনশনের এই মাঠে দেখে আমি খুবই দু:খ পেলাম এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যেভাবে এর আগে আঘাত করা হয়েছে তা দু:খজনক ও কষ্টকর ব্যাপার । আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১১ টায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আমরণ অনশনে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের দেখতে এসে এসবকথা বলেন বেরোবির সিন্ডিকেট সদস্য ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আহমেদ হোসেন।

উপাচার্য অপসারণ ও গত ৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে অনশনরতদের উপর হামলাকারীদের শাস্তির দাবিসহ ৮ দফাদাবিতে অনশনরতদের দেখতে এসে তিনি আরো বলেন, আমি দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে চাই অত্যান্ত দ্রুততার সাথে রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সমস্যার সমাধান করতে পারি। ৯২ হাজার পরীক্ষার্থীকে জিম্মি করে কেউ যদি ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করে আর অন্য কেউ যদি নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করে আমরা রংপুর বাসীর পক্ষ থেকে ও আমি সিন্ডিকেটের সদস্য হিসেবে এই সব স্বার্থান্বেষী কর্মকান্ড ঘৃণা করি।

সবশেষে তিনি আবারো বলেন, আমি সকল সিন্ডিকেটের সদস্য ও সরকারকে এগিয়ে আসার জন্য আহব্বান জানাই, তারা যাতে এখানে এসে দেখে শিক্ষক কর্মকর্তা কর্মচারী বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাকাজ যেভাবে ব্যাহত হচ্ছে সেদিকে সুদৃষ্টি দেবে।

উল্লেখ্য যে,রবিবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকটের যাবতীয় সমস্যা সহ শিক্ষার্থীদের ৮ দফা দাবি  এবং  উপাচার্য , প্রক্টরিয়াল বডির সকল সদস্যের  পদত্যাগের দাবি নিয়ে  আহত রসায়ন বিভাগের শিক্ষক এইচএম তারিকুল ইসলাম , ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন  এবং শিক্ষার্থীদের পক্ষে শাজাহান আলী একই সাথেে আমরন অনশন করার ঘোষণা দেন ।রবিবার সন্ধ্যা ৭ থেকে পুলিশফাঁড়ীর সামনে এই অনশন শুরু হয়। তাদের ৩ জনের এই আমরণ অনশনে একাত্মা ঘোষণা করেন উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনের “সমন্বিত অধিকার বাস্তবায়ন পরিষদ” ও সাধারন শিক্ষার্থীর একাংশ ।

এদিকে অনশনরতদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠলে বেরোবি পুলিশ ফাঁড়ীর উপপরিদর্শক শফিকুল ইসলাম শফিক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার বিষয়টি প্রক্টরিয়াল বডির দ্বারা পরিচালিত হয়। আমরা আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য ‍হিসেবে এখানে সর্বদা নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত রয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশের জন্য প্রক্টরিয়াল বডিসহ সকলের সার্বিক সহযোগীতা কামনা করছি।

Comments (0)
Add Comment